বেশিরভাগ সময় বিয়েতে কেন লাল শাড়ি পরেন কনে? জেনে নিন এর আসল কারণ
ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ে এমন একটি সামাজিক প্রথা, যা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের আচার আচরণে অনেক তফাত্ এসেছে, তবু ঈশ্বর ও সমাজকে সাক্ষী রেখে দুটি মানুষের একসঙ্গে জীবন শুরু করার মূল নিয়ম একই রয়েছে। বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে বিয়ের প্রথায় বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন হিন্দু বাঙালি মহিলারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাল রঙের বেনারসী পরে বিয়ে করে থাকেন। হিন্দু বিয়েতে বরাবরই লাল রঙের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। লাল রঙের পোশাকে সেজে নববধূ যেন আরও সুন্দর হয়ে ওঠেন। কিন্তু কেন বিয়েতে কনের লাল রঙের পোশাকই বেশু প্রচলিত। জেনে নিন এর পেছনে থাকা আসল কারণ।
বিয়েতে লাল পোশাক পরার ধর্মীয় কারণ
হিন্দু বিয়েতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কনেকে লাল রঙের পোশাকে দেখা যায়। আর বাঙালি কনের সাজ তো টুকটুকে লাল বেনারসী ছাড়া অসম্পূর্ণ। আজকাল লাল ছেড়ে অনেকেই বিভিন্ন প্যাস্টেল শেডের দিকে ঝুঁকলেও একথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে লাল রঙে নববধূর সাজ একটা আলাদা মাত্রা পায়।
আসলে বিয়ে হল নতুন জীবনের সূচনা। আর লাল হল ভালোবাসার রং। তাই ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নতুন জীবনের পথে পা রাখেন মহিলারা। জ্যোতিষশাস্ত্রেও লাল রং অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে লাল, হলুদ এবং গোলাপী রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই বিয়ে ছাড়াও অন্য ধর্মীয় প্রথা ও অনুষ্ঠানেও এই রংগুলির প্রাধান্য থাকে।
বাস্তু অনুসারে লাল রং হল পজিটিভ এনার্জির আধার। নতুন জীবন শুরুর আগে তাই লাল রঙকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিয়ের কনে যখন লাল রঙের শাড়ি বা লেহেঙ্গা পড়েন, তখন তাঁর মধ্যে শুভ শক্তিকে আকর্ষণ করার একটা ক্ষমতা জন্মায়। এই কারণেই বিয়ের কনেকে প্রধানত লাল রঙে সাজানো হয়ে থাকে। লাল শাড়ি ছাড়াও লাল টিপ, পায়ে আলতা ও হাতে মেহেন্দির লালচে ছোঁয়া কনের মধ্যে শুভ শক্তির সৃষ্টি করে।
Post a Comment