নিয়মিত কতটা পরিমাণ আম খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নিরাপদ, রইল বিশেষ তথ্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সারা বিশ্বজুড়ে ক্রমে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। এখন প্রায় প্রতি ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী। ক্রমে এই রোগ প্রসার লাভ করছে। একবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে প্রতি ব্যক্তিকে থাকতে হয় সতর্ক। খাদ্যাভ্যাস থেকে জীবনযাত্রায় সর্বত্র আনতে হয় পরিবর্তন। সঠিক সময় পরিবর্তন না করলে বাড়তে পারে এই রোগ। আজ টিপস রইল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সবার আগে নজর দিন খাদ্যতালিকায়। সঠিক খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখা সম্ভব। তেমনই কিছু খাবার আছে যা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকবে। আবার কিছু খাবারের কারণে বাড়তে পারে সেই মাত্রা। আজ রইল এমনই এক খাবারের কথা। গরমের বাজার ভরে গিয়েছে আমে। আম অনেকেরই পছন্দের ফল। তবে, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আম কি নিরাপদ? তেমনই, আম খেলে কতটা পরিমাণ আম খাওয়া যাবে?.


আম স্বভাবতই মিষ্টি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। যা শরীরের চিনির শোষণকে ধীরে করে দেয়। কিন্তু, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তাই যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে তাদের এই ফল বেশি না খাওয়াই ভালো। রক্তে শর্করার মাত্রা HbA1c বেশি থাকলে এই ফল এড়িয়ে চলুন।


বিশেষজ্ঞের মতে, রক্তে যদি চিনি বা শর্করা স্বাভাবিক থাকে তাহলে এই ফল খেতেই পারেন। কিন্তু, যাদের শারীরিক জটিলতা আছে তারা নিয়ম মেনে আম খান। সঠিক পদ্ধতিতে আম না খেলে হতে পারে সমস্যা। আম খান মিষ্টির পরিবর্তে। এতে কোনও সমস্যা নেই। যেদিন আম খাবেন সেদিন অন্য কোনও মিষ্টি খাবেন না। এতে কোনও সমস্যা হবে না। প্রতিদিন ফল থেকে ৩০ গ্রাম শর্করা আপনি খেতে পারেন। প্রতিদিন অর্ধেক করে আম খান। এতে কোনও ক্ষতি নেই। তবে, রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে হতে পারে জটিলতা। সেক্ষেত্রে আজ খাওয়া আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


তাই গরমের ডায়াবেসিরে রোগীরা অবশ্যই খেতে পারেন আম। তবে, অর্ধেকের বেশি নয়। আর যেদিন আম খাবেন সেদিন কোনও কোনও মিষ্টি খাওয়া থেকে থাকুন বিরত। আমে রয়েছে নানান উপকারী উপাদান। যা সব ধরনের রোগীদের জন্য উপকারী। তাই এই গরমে আম খান নিয়ম মেনে। এতে মিলবে উপকার। শরীর থাকবে সুস্থ। দূর হবে নানান জটিলতা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.