এই মন্ত্র পাঠ করলেই পাবেন গীতা পাঠের ফল, সম্ভব পাপক্ষয়, বাধা মুক্ত হবে জীবন!



 ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থে শ্রীমদ্ভগবতের বিশেষ মাহাত্ম্য স্বীকৃত। কথিত আছে যে গীতা পাঠ করলে ব্যক্তি পুণ্য ফল লাভ করে ও তাঁদের সমস্ত পাপ নষ্ট হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিদিন শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ করলে ব্যক্তি সমস্ত সমস্যা মোকাবিলা করার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। পাশাপাশি ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। তবে শ্রীমদ্ভগবত পাঠ করার মতো সময় না-থাকলে প্রতিদিন একটি মন্ত্র জপ করলেই সুফল পেতে পারেন। এই একটি মন্ত্র শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠের সমান ফলাফল প্রদান করে। এই মন্ত্রটি হল শ্লোকরূপী ভাগবত মন্ত্র।


শ্লোকরূপী ভাগবত মন্ত্র


আদৌ দেবকী দেব গর্ভজননং, গোপী গৃহে বদ্রধনম্।

মায়া পূজ নিকাসু তাপ হরং গৌবদ্রধনোধরণম্।।

কংসচ্ছেদনং কৌরবাদিহননং, কুন্তীসুপাজালনম্।

একদ্ শ্রীমদ্ভগবতম্ পুরাণ কথিতং শ্রীকৃষ্ণ লীলামৃতম্।।

অচ্যুতং কেশবং রামনারায়ণং কৃষ্ণঃ দামোদরং বাসুদেবং হরে।

শ্রীধরং মাধবং গোপিকাবল্লভং জানকী নায়কং রামচন্দ্রং ভজে।।


মন্ত্রের অর্থ


এই মন্ত্রের অর্থটি হল যে কৃষ্ণ দেবকীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। গোপী-গোয়ালাদের সঙ্গে বড় হন, পুতনা সংহার করেন, গোবর্ধন পর্বত ধারণ, কংস বধ করেন। কুন্তী পুত্র অর্থাৎ পাণ্ডবদের রক্ষা করেন তিনি। কৌরবদেশ নাশ করেন। এ ভাবে নিজের ক্রিয়াকলাপের মাধ্য়মে সংসারে নিজের লীলা খেলা দেখান কৃষ্ণ।


এক শ্লোকী মন্ত্র জপ করার নিয়ম


জ্যোতিষ শাস্ত্রে অনুযায়ী এই এক শ্লোকী মন্ত্র জপ অত্যন্ত শুভ। শাস্ত্র মতে, নিয়ম মেনে এই মন্ত্র জপ করলে ব্যক্তি নিজের জীবনে সমস্ত সুখ-সুবিধা লাভ করে। শুধু তাই নয়, পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন তিনি। পাপক্ষয়ের জন্য নিয়মিত এই মন্ত্র জপ করা উচিত।


এই মন্ত্র জপ করার জন্য সকালে উঠে স্নান সেরে কৃষ্ণের পুজো করুন। তার পর তুলসী মালা দিয়ে এই মন্ত্র জপ করুন। তুলসী মালা দিয়ে এই মন্ত্র জপ করা বিশেষ ফলদায়ী। প্রতিদিন পাঁচ মালা জপ করলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করবেন।


এ ছাড়াও আরও ৪টি শ্লোক রয়েছে, যা পাঠ করলে সম্পূর্ণ গীতা পাঠের ফলাফল পেতে পারেন। এগুলি হল--


১. অহমেবাসমেবাগ্রে নান্যদ যৎ সদসত পরম।

পশ্চাদহং যদেতচ্চ যো বশিষ্যেত সো স্ম্যহম


২. ঋতে র্থং যৎ প্রতীয়েত ন প্রতীয়েত চাত্মনি।

তদ্বিদ্যাদাত্মনো মায়া যথা ভাসো যথা তমঃ


৩. যথা মহান্তি ভূতানি ভূতেষূচ্চাবচেষ্বনু।

প্রবিষ্টান্যপ্রবিষ্টানি তথা তেষু ন তেষ্বহম্।।


৪. এতাবদেব জিজ্ঞাস্যং তত্ত্বজিজ্ঞাসুনাত্মনঃ।

অন্বয়ব্যতিরেকাভ্যাং যৎ স্যাৎ সর্বত্র সর্বদা।।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.