প্রসবের পর ওজন কমতে পারে দ্রুত, মেনে চলুন এই কয়েকটি কার্যকরী টিপস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রসবের সময় মাংসপেশিতে টান হয় যার ফলে ভুড়ি বেড়ে যায়। এ ছাড়া গর্ভধারণের পর নারীদের চুল পড়া-সহ আরও নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তলপেটে প্রচুর চর্বি জমলে তা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন মায়েরা। যাইহোক, আপনি যদি গর্ভাবস্থার পরে ওজন হ্রাস করার জন্য সাধারণ টিপস খুঁজছেন তবে এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল।


ওজন কমানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ : প্রসবের পরে ওজন কমানোর কোনো পরিকল্পনা শুরু করার আগে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার পরিস্থিতির জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রদান করতে পারে এবং নিশ্চিত করতে পারে যে আপনি স্বাস্থ্যকর পথ দিয়েই ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন।


একটি সুষম খাদ্যের দিকে মনোনিবেশ করুন: একটি সুষম খাদ্য খাওয়া যাতে বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে গর্ভাবস্থার পরে ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর প্রচার করার সময় আপনার শরীরকে পুষ্ট করার জন্য পুষ্টিকর-ঘন খাবারের লক্ষ্য রাখুন।


খাবার পরিমাণের দিকে নজর: অংশের আকারের দিকে মনোযোগ দিন এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়ান। আপনার শরীরের ক্ষুধা এবং পূর্ণতার সংকেত শুনুন এবং পুরো পেট ভর্তি করে না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প খান।


হাইড্রেটেড থাকুন: সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই নতুন মায়েরা ওজন কমাতে জলের ওপর ভরসা করতে পারেন।


হালকা ব্যায়াম শুরু করুন: আপনার চিকিৎসক অনুমোদন দিলে, ধীরে ধীরে আপনার রুটিনে শারীরিক কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত করুন। কমভারি বা হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। সময়কাল বাড়ান কারণ আপনার শরীর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরবে ও শক্তি অর্জন করে।


পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: গর্ভাবস্থার পরে আগের ফিটনেস পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্রাম এবং ঘুম অপরিহার্য। মানসম্পন্ন ঘুমের লক্ষ্য রাখুন এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিন।


মনে রাখবেন, প্রতিটি ব্যক্তির ওজন কমানোর যাত্রা নিজস্ব ছন্দে চলে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে। এক দিনে ওজন কমে না। নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে শরীরের নানা ওঠাপড়া মানিয়ে নিয়ে ওজন কমাতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে। তবে ওজন কমানোর জার্নিতে সবসময় একজন চিকিৎসক বা রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা ভাল যিনি ব্যক্তিগতভাবে যাবতীয় নির্দেশ ও পরামর্শ দিতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.