গর্ভাবস্থায় নারীর খাদ্যাভ্যাস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমরা জানি যে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের কিছু পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেমন, দুধ-ডিম-শাকসবজি যেন তারা কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অনেক জটিল সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। আর প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াটা খুব বেশি জরুরি। গর্ভাবস্থায় রুচির  অনেক সময় চেঞ্জ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অনেক ঝাল অনেক বেশি মসলাজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন।


সে ক্ষেত্রে আমরা যে প্রবলেমটা পেশেন্টদের কাছ থেকে খুব বেশি শুনি, তাহলো তারা খুব বেশি হজমজনিত সমস্যায় ভোগে। যেটাকে আমরা হয়তো জেনারেল গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হিসেবে ডিফাইন করে থাকি।  মাথায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। দরকার হয় একবারে খেতে না পারলে একটু পরপর পানি খেতে হবে আরেকটা প্রবলেম সেটা হলো, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস ও শেষের তিন মাস তারা খুব বেশি বমির সমস্যা বোধ করে। সেটার জন্য আমরা তাদের যে উপদেশ দিয়ে থাকি, তা হলো, একসঙ্গে অনেক খাবার খেতে বারণ করি। 


ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধের পাশাপাশি তারা অল্প অল্প করে কিছু শুকনো খাবার খেতে পারে। পাশাপাশি আরও একটা এডভাইস দেই। যেমন, খাবারে ঝাল ও মসলা কমিয়ে দেওয়া, যেন হজমের প্রবলেমটা না হয়। কারণ এটা শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হরমোন পরিবর্তনের কারণেও এই  প্রবলেম হতে পারে।  আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, যখন তারা একটু  বাইরের ভাজা পোড়া খাচ্ছে। খুব বেশি টক বা আইসক্রিম কিংবা ফুচকা জাতীয় খাবার খাচ্ছে, তখন তাদের ফুড পয়জনিংয়ের প্রবলেমটা হয়। হঠাৎ করে তাদের পাতলা পায়খানা বমি কিংবা খিঁচুনি সমস্যাটা অনেক সময় থাকে। এই জিনিসগুলো অনেক বেশি হয়ে থাকে। এই সমস্যা  প্রতিরোধ করার জন্য তাদের খাবারের ব্যাপারে খুব বেশি প্রয়োজন।  এই সময় অবশ্যই তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন তাদের সবসময় হাসিখুশি রাখা, প্রাণবন্ত রাখা, কোনো ধরনের দুঃসংবাদ না শোনানো।  পাশাপাশি যদি কোনো রকম সমস্যা হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। একমাস অন্তর অন্তর একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.