রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে এই নিয়মগুলি জেনে নিন, না-হলে ঘোর বিপর্যয় নামবে জীবনে!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রুদ্রাক্ষকে শিবের অংশ মনে করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী শিবের অশ্রু ভূমিতে পড়ার পরই তা থেকে রুদ্রাক্ষ গাছের উৎপত্তি হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষ ধারণের একাধিক লাভ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। শাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষ ব্যক্তির কোষ্ঠীর অশুভ দোষই যে দূর করে তা নয়, বরং নানান সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অর্থাভাব কেটে যায়। তবে শিবের এই অংশটিকে ধারণ করার বিশেষ কিছু নিয়ম আছে। তা মান্য করে রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। তা না-হলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। রুদ্রাক্ষ ধারণের লাভ ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন এখানে।


রুদ্রাক্ষ ধারণের নিয়ম


১. শাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষ সবসময় নিজের টাকায় কিনে ধারণ করা উচিত। কারও কাছ থেকে উপহারে পাওয়া রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে নেই।


২. সাধু-সন্তের সামনে ও পুরো রীতিনীতি মেনে রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। তবে রুদ্রাক্ষ ধারণ করার আগে জ্যোতিষীদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।


৩. রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে এর পুজো করাতে ভুলবেন না। তার পর ধারণ করুন। রুদ্রাক্ষের পুজো করিয়ে তা খুব বেশিক্ষণ রেখে দেওয়া উচিত নয়।



৪. রুদ্রাক্ষ কখনও কালো সুতোয় গেঁথে ধারণ করা উচিত নয়। এটি সবসময় লাল ও হলুদ সুতোয় গেঁথে পরবেন।


৫. এটি ধারণ করার সময়ে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র উচ্চারণ করবেন। এটি অত্যন্ত পবিত্র। নোংরা হাত দিয়ে রুদ্রাক্ষ স্পর্শ করতে নেই।


রুদ্রাক্ষ ধারণের লাভ


১. শাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ব্যক্তি জ্ঞানত-অজ্ঞানত করে থাকা সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায়। এটি ধারণ করলে ব্যক্তির জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে এবং সমস্ত দুষ্প্রভাব দূর হয়।


২. রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ব্যক্তির শক্তি বৃদ্ধি হয়। এর পাশাপাশি অবসাদ কমে। কারও উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে, তা-ও রুদ্রাক্ষের প্রভাবে কমে আসে।


৩. রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি ত্বকের রোগ দূর হয়।


কারা রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন না?


শাস্ত্র মতে কিছু কিছু ব্যক্তির রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত নয়। কারা এটি ধারণ করবেন না, জেনে নিন--


১. শাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে যে গর্ভবতী স্ত্রীদের রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত নয়। অশৌচকাল পর্যন্ত মহিলাদের রুদ্রাক্ষ ধারণ নিষিদ্ধ। আবার যে ব্যক্তি রুদ্রাক্ষ ধারণ করে থাকে, তাঁরা নবজাত শিশু ও তাঁর মায়ের কক্ষে প্রবেশ করবেন না। প্রয়োজনে রুদ্রাক্ষ খুলে রেখে তাঁদের কক্ষে প্রবেশ করা উচিত।


২. আবার যে ব্যক্তি আমিষ খাবার খায়, তাঁরাও রুদ্রাক্ষ ধারণ থেকে বিরত থাকুন। ধূমপান ও আমিষ খাবার ত্যাগ করার পরই এটি ধারণ করা উচিত। মনে করা হয় এমন কোনও ব্যক্তি রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তা অশুদ্ধ হয়ে যায়। এর ফলে তাঁদের ভবিষ্যতে কষ্ট সহ্য করতে হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.