স্বামী-স্ত্রী যখন এক অফিসে



 ODD বাংলা ডেস্ক:  স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকুরিজীবি এমন উদাহরণ এখন ঘরে ঘরে। কিন্তু দুজনের কর্মস্থল যদি এক হয়? এমন হলে ব্যক্তিগত জীবনে তার কিছু প্রভাব পড়তেই পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলাতে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন।


কী করবেন-


১. অফিস আর বাড়ির সম্পর্ক একদম আলাদা রাখুন। বাড়িতে আপনারা স্বামী-স্ত্রী, কিন্তু অফিসে সহকর্মী ছাড়া আর কিছু নন, এ কথাটা ভুলে যাবেন না। অফিসের আলোচনা বা মনোমালিন্য অফিসেই ছেড়ে আসুন। এই নিয়ে বাড়িতে আর আলোচনা করবেন না।


২.অফিসে নিজেদের মধ্যে একটা ফর্ম্যাল রিলেশনশিপ বজায় রাখাই ভাল। দেখা হলে অবশ্যই কথা বলবেন কিন্তু ব্যক্তিগত আলোচনা নয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প বা পারিবারিক আলোচনা বাড়ির জন্যই তুলে রাখুন।


 ৩. স্বামী বা স্ত্রী এবং অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যবহারে যেন কোনও তারতম্য না থাকে, তার দিকে বিশেষ নজর রাখবেন। কাজের ক্ষেত্রে সঙ্গীর কোনও ভুলকে প্রশ্রয় দেবেন না।


৪. দুপুরের বিরতিতে শুধু দু’জনে একসঙ্গে বসে না খেয়ে, অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে যাওয়াই ভালো। এতে দু’জনেই একটু স্পেস পাবেন। মাঝে মাঝে আলাদা বাড়ি ফিরুন, তা হলেও একঘেয়েমি খানিকটা কাটবে। একসঙ্গে ফিরলেও অফিসের বিষয়ে আলোচনা বন্ধ রাখুন।


৫. অফিসের কাজে কোনও মতেই যেন ব্যক্তিগত সম্পর্কের ছায়া না পড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দিন। একসঙ্গে আড্ডা, ফোনে গল্প করা, এসএমএস পাঠানো, ইমেল করার কাজে ব্যস্ত থাকলে তাদের  আলোচনার বিষয়বস্তু হবেন।  অফিসের সম্পত্তি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা কর্তৃপক্ষ বা সহকর্মী কেউই ভালো চোখে দেখেন না। একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেলে কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানান যাতে দু’জনের ছুটি পেতে কোনও সমস্যা না হয়।


৬. স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কাজ করলে কিছুটা কথা চালাচালি হবেই। সব কথায় কান দেবেন না। কিন্তু এই গসিপের জেরে যেন নিজেদের দাম্পত্যে কোনও কুপ্রভাব না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।


৭.অফিসে যাওয়ার বা ফেরার সময় অফিসের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করে নিন যাতে অফিসকে বাড়ি পর্যন্ত টেনে না নিয়ে আসতে হয়। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো থাকলে সবরকম সমস্যার সমাধানই সহজে করতে পারবেন ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.