তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি বেবি গার্ল: জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে কী ‘সুপার সারপ্রাইজ’ দেবেন সুকেশ চন্দ্রশেখর?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ‘কনম্যান’ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সাথে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা হয়েছে ব্যাপক। দুর্নীতির টাকা জ্যাকলিনের উপহারের পেছনে খরচ করেছেন বলেও জানিয়েছেন সুকেশ। তবে, তা কি শুধুই সাময়িক আবেগ? নাকি, এর পেছনে সত্যিই রয়েছে তাঁর গভীর ভালোবাসা? সম্প্রতি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে জ্যাকলিনের অভিনয়ের প্রশংসা করে সুকেশ চন্দ্রশেখর তাঁকে একটি চিঠি লিখেছেন, যে চিঠিতে উল্লেখ করা রয়েছে যে, ১১ আগস্ট জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের জন্মদিনে তাঁকে একটি ‘সুপার সারপ্রাইজ’ দিতে চলেছেন তিনি। এই ‘সুপার সারপ্রাইজ’-টি আসলে কী, তা নিয়েই বলি জগতে শুরু হয়েছে জল্পনা।


বেশ কয়েকটি জালিয়াতির ঘটনায় দিল্লির মান্ডোলি জেলে বন্দী চন্দ্রশেখর বৃহস্পতিবার তার আইনজীবী অনন্ত মালিকের মাধ্যমে একটি চিঠি প্রকাশ করেছেন। সেই চিঠিতে জ্যাকলিনের প্রতি তিনি নিজের গভীর ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন। লেখায় তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি জ্যাককে ঠিক কতটা মিস করেছেন। “আমার ভালবাসা, আমার বেবি জ্যাকলিন, আমার বোমা, আমি ২৮ এপ্রিল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেখেছি। আমার এই কথাটা স্বীকার করা উচিত যে, তুমি এটাতে অসামান্য ছিলে এবং তোমার অভিনয় সেরা ছিল। বেবি, সম্পূর্ণ শো-তে তোমার নাচের অভিনয় ছিল শো স্টপার। তুমি মার্জিত, দারুণ, সুপার-হট এবং তুমি আমাকে আবার তোমার প্রেমে আরও বেশি করে পাগল করে দিয়েছ। আমার কাছে কোনও শব্দ নেই। তুমি একটা বোমা, সুপার স্টার, মাই বেবি গার্ল।”


তিনি আরও লেখেন, “আমার জীবনে তোমাকে পেয়ে আমি ধন্য, আমার রানী। বোট্টা বোমা। আমার সমস্ত কিছুর থেকে বেশি ভালোবাসি আমি তোমাকে। প্রতি সেকেন্ড শুধু তোমার জন্য। তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা পাগলের মতো ভালোবাসি। তুমি এটাও জানো যে, তুমি আমাকে কতটা পাগলের মতো ভালোবাসো। আমি তোমাকে খুব বেশি মিস করছি। তোমার জন্মদিনে আমার কাছে একটি সুপার সারপ্রাইজ আছে, তুমি এটা পছন্দ করবে, আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছি! অপেক্ষা করতে পারছি না! বাবু, আমি শুধু চাই তুমি হাসতে থাকো।” এরপরেই তাঁর চিঠিতে রয়েছে, “সত্যের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে, চিন্তা ক’রো না বাবু।” এই ‘সত্যের কাউন্টডাউন’ আসলে কী, তা নিয়ে গুঞ্জন আরও গভীর হয়ে উঠেছে।


গত মাসে আগের চিঠিতে চন্দ্রশেখর জ্যাকলিনকে ইস্টারের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছিলেন এবং লিখেছিলেন যে, তিনি অভিনেত্রীর সাথে উৎসব উদযাপন করা মিস করেছেন। তখনও তিনি জ্যাকলিনের প্রশংসা করে লিখেছিলেন যে, “এই গ্রহে তোমার মতো সুন্দর আর কেউ নেই।”


বলা বাহুল্য, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের প্রতি সুকেশ চন্দ্রশেখরের এই ‘গভীর’ ভালোবাসার চিঠি চালাচালির মধ্যেই ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে জেলের বেকারি থেকে একটি জন্মদিনের কেক পাঠানো হয়েছিল সুকেশের স্ত্রী লীনা পাওলোসের কাছে। দিল্লির আদালত তাঁকে কেক পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল এই যুক্তিতে যে, “চন্দ্রশেখরকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকার জন্য আত্মবিশ্বাস দেওয়া দরকার।”


তদন্তে এও দেখা গেছে যে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মধ্যে শুধুমাত্র জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজই নন, সুকেশের পাঠানো লক্ষ লক্ষ টাকার উপহার গেছে বলিউড তন্বী নোরা ফতেহি, সারা আলি খান, জাহ্নবী কাপুর এমনকি ভূমি পড়নেকরের কাছেও। এঁদের সকলকেই উপহার পাঠিয়েছিলেন সুকেশ। এবার ১১ অগাস্ট জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে তিনি কী সারপ্রাইজ দেন, তা নিয়েই এখন চলছে জল্পনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.