গরমে শীতল হাওয়া

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গরমে স্বস্তি পেতে এবং প্রতিদিনের কাজকর্ম সচল রাখতে হলে আমাদের নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্য তো নিতেই হবে। বাজারে বর্তমানে মূলত দুই ধরনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র পাওয়া যায়—স্পিল্ট ও উইন্ডো। ব্যবহারের জায়গার আকার অনুযায়ী এগুলো আবার বিভিন্ন সাইজের হয়। এগুলো বিক্রি হয় টন হিসেবে। আজকাল অনেকেই বাসায় ব্যবহার করেন এয়ারকুলার বা এসি।


গরমে আরাম পেতে প্রথমেই যে পণ্যটির কথা মাথায় আসে তা হলো এয়ারকন্ডিশনার বা এসি। গরমের আরাম, প্রযুক্তির অবদান। এয়ারকন্ডিশনার এখন আর সৌখিন পণ্য নয়, গ্রীষ্মের তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে একটু প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে অনেকেই এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের দ্বারস্থ হচ্ছে।


অভিজাত বাসাসহ উচ্চ-মধ্যবিত্তদের বাসা, অফিস কিংবা শপিং মলগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছাড়া ভাবাই যায় না। প্রযুক্তির উত্কর্ষের মানুষের জীবন আজ অনেকটা সহজ হয়ে উঠেছে। এ প্রযুক্তির ছোঁয়া এসে লেগেছে আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রে। ফলে জীবনে এনে দিয়েছে আরাম-আয়েশ আর স্বাচ্ছন্দ্য। গরমে স্বস্তি পেতে, শীতে উষ্ণতা পেতে এবং প্রতিদিনের কাজকর্মে গতিশীলতা আনতে আমরা কোনো না কোনোভাবে প্রযুক্তির শরণাপন্ন হচ্ছি। 


শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র অনেকটা আভিজাত্যের প্রতীক হলেও প্রয়োজনের হিসেবে এর গুরুত্ব সবার কাছেই সমান। বাইরের প্রচণ্ড রোদ আর গরমের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অফিস কিংবা বাসায় রাখতে পারেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। মুহূর্তের মধ্যেই মনে আরামের ও প্রশান্তির পরশ ছুঁয়ে যাবে। দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই গ্রাহকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন কোম্পানিও বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন মডেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বাজারে আনছে। বছরের সকল সময় আরামদায়ক আবহাওয়া সৃষ্টিতে এয়ারকন্ডিশন যন্ত্রের উদ্ভাবন। আমেরিকান বিজ্ঞানী উইলিস কারিয়ার সর্বপ্রথম এটি আবিষ্কার করেন। ১৯০২ সালে একটি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত আর্দ্রতা কমাতে এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.