কফির কাপে চুমুকতো দেবেনই, তবে পরিমিত

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কোন ক্লান্তি কাটাতে কিংবা বন্ধুদের আড্ডা চাঙা রাখতে যেকোন পরিস্থিতিতে বার বার কফির কাপে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ঘুম ভাব কাটিয়ে কিছুটা চাঙ্গা হতে কফির কোনও বিকল্প নেই। মানসিক অবসাদে ভুগলেও অনেকে অতিরিক্ত কফি খেয়ে থাকেন। আর বিপত্তি তৈরি হয় তখনি। অতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী অতিরিক্ত কফি খেলে শরীরে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে, চলুন জেনে নেই-


অনিদ্রা: কফিতে থাকা ক্যাফেইন বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ঘুমের বারোটা বাজে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা বেশি কফি খান তারা অনিদ্রায় ভোগেন। তাই বিকেলের পর থেকে কফির কাপে চুমুক না দেওয়াই ভাল।


শরীরে জলের ঘাটতি: কফির প্রকৃতি হল ন্যাচারাল ডাই-ইউরেটিক। তাই অতিরিক্ত কফি শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গেই কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে বার বার প্রস্রাব পাওয়ায় শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং সলিউবল মিনারেল বের হয়ে যায়। ফলে শরীরের স্বাভাবিক হাইড্রেশন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলস্বরূপ শরীরে জলের ঘাটতি হয়। গরমের সময় এর ফল হতে পারে আরও মারাত্মক।


মানসিক অবসাদ: ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কর্টিসোল হরমোন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে একটু বেশি মাত্রায় কফি খেলেই কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ আরও বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর কারণ এই হরমোনটি। ফলে সকালে উঠেই দু’তিন কাপ কফি খেয়ে ফেললে মন ভাল হওয়ার বদলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়।


ক্রনিক রোগ: শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় কর্টিসোলে ক্ষরণ বিপাক হার, রক্তচাপ আর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে অত্যধিক মাত্রায় এর ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতি করে, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস এমনকি, হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।


প্রজনন ক্ষমতা: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি মাত্রায় কফি খেলে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে। আধুনিক জীবনে অনেকেই বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তাই কফি খেয়ে ওই সম্ভাবনা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলার কোনও মানে হয় না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.