পোষ্য কুকুরের ভিডিও বানিয়ে বছরে আয় ৮ কোটি টাকা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমগুলো ইদানীং আয়ের অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ স্থায়ী চাকরি ছেড়ে এই মাধ্যমকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করছেন। দৈনন্দিন জীবনে যে তা খুব একটা প্রভাব ফেলে তাও নয়। সমীক্ষা বলছে, ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ নামক পেশার সাথে যারা যুক্ত, তাদের মাসিক আয় কয়েক হাজার টাকা। বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা লাখেও পৌঁছে যায়।

কিন্তু তাই বলে ৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা আয়। আয়ের কথা শুনে আপনি হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। কিন্তু বিস্ময়ের শেষ নয় এখানেই। কারণ এই আয় কোনো মানুষের নয়। গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির কুকুর ‘টাকার বাডজিন’ মাসে এই পরিমাণ আয় করে। ইনস্টাগ্রামে কুকুরটির অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ।


এমন এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বছরে আট কোটি ২৮ লাখ টাকা আয় করছে এক দম্পতি। তাদের গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির কুকুর ‘টাকার বাডজিন’ মাসে এই পরিমাণ টাকা আয় করে।


‘প্রিন্ট পেট মেমোরিজ়’ নামের এক সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, ‘টাকার বুডজিন’ এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম সমাজিক মাধ্যম প্রভাবশালীদের একজন। সমাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তার দৌড়ে অনেক ব্যক্তিদের পিছনে ফেলে দিয়েছে এই সারমেয়। ইনস্টাগ্রামে এর অনুরাগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ছুঁই ছুঁই।


সারমেয়র বয়স যখন দুই, তখন থেকেই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মিশিগানের বাসিন্দা কোর্টনি এবং তার স্বামী মাইক হলেন বাডজিনের মালিক। পোষ্যের ৩-৮টি ভিডিও পোস্ট করেন তারা। এতে শুধু ইনস্টাগ্রাম থেকেই প্রায় ২০ হাজার ডলার আয় হয়। ইউটিউব থেকে রোজগারের পরিমাণ আরও বেশি। এত টাকা কোন খাতে খরচ করবেন নিজেরাই বুঝতে পারেন না। কয়েক বছর আগেও সংসারের অবস্থা এতটা স্বচ্ছল ছিল না। কোর্টনি সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। আর মাইক একটি বেসরকারি ফার্মে কর্মরত ছিলেন।


তারা জানান, ২০১৮ সালে বাডজিনকে বাড়িতে আনেন। পরিকল্পনামাফিক একের পর এক পোষ্যের ভিডিও করে তা পোস্ট করতে থাকেন। কয়েক মাসেই তারা বুঝে যান, আগামী দিনগুলো কতটা বিলাসিতায় কাটতে চলেছে। তাই দু’জনেই চাকরি ছেড়ে বাডজিনের দেখাশোনা শুরু করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.