শরীরচর্চার পর ক্লান্তি কাটায় কোন খাবার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের কথায়, আজকাল জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত হয়েছে নানা অনিয়ম। অনেকেই বাইরের খাবার খেতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে অলসতা। এ ধরনের জীবনযাপনে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। সেক্ষেত্রে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নিয়মিত শরীরচর্চায় হৃৎপিণ্ড, কিডনি, লিভারসহ দেহের প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ থাকে । এমনকী তারা মানসিক দিক থেকেও অন্যদের থেকে বেশি আত্মবিশ্বাসী হন।


তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর সুস্থ রাখতে শুধু শরীরচর্চা নয়,পাশাপাশি ডায়েটেও মন দিতে হবে। তা না হলে পুষ্টির ঘাটতির কারণে শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করবে। মাংসপেশিরও দ্রুত ক্ষতি হতে পারে। এমন সমস্যা এড়াতে চাইলে শরীরচর্চার পর খাদ্যতালিকায় কয়েকটি খাবার রাখতে পারেন। এতেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। ক্লান্তিও মিটবে।


শরীরচর্চার পর কী খাবেন


তরমুজ: শরীরচর্চার পর এমনিতে শরীরে জলের ঘাটতি বেড়ে যায়। গরমে এই ঘাটতি আরও বাড়ে। শরীরচর্চার পর দেহে জলের ঘাটতি মেটাতে তরমুজ খেতে পারেন। এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল রয়েছে। এছাড়া এতে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে কোষে কোষে শক্তির সঞ্চার ঘটে। মিটে যায় শারীরিক ক্লান্তি। এক্ষেত্রে তরমুজের জুস খেলেও উপকার মিলবে। এই জুস খাওয়ার পরপরই পেশিতে দ্রুত শক্তি ফেরে।


ফ্যাটযুক্ত মাছ: খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখুন। এক্ষেত্রে স্যামন, টুনা, সার্ডিনের মতো মাছ রাখতে পারেন। এসব মাছ অল্প তেলে ভাঁপে ভাঁপে রান্না করতে হবে। মনে রাখবেন, এই ধরনের মাছে রয়েছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। তাই এই ধরনের মাছ খেলে দ্রুত পেশির জোর বাড়ে। এছাড়া এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের প্রদাহ কমায় এবং পেশির বিকাশে সাহায্য করে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনে।


বেদানার রস: মিষ্টি স্বাদের বেদানা শুধু খেতে সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। এই ফল পলিফেনলসের ভাণ্ডার। এই উপকারী উপাদানটি মাংসপেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এ কারণে জিম বা শরীরচর্চার পর পারলে একটা গোটা বেদানা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া মন চাইলে বেদানার জুস করেও খেতে পারেন। এই জুস খেলে দেহে জলের ঘাটতি মেটায়, সেই সঙ্গে শরীর পুষ্টিও পায় । তবে বেদানার জুসে আলাদা করে চিনি মেশাবেন না।


বিটের জুস: বিট অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এতে রয়েছে ডায়েটরি নাইট্রেটস। এই ডায়েটরি নাইট্রেটস পেশির সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়াতে পারে। এই সবজি দ্রুত ক্লান্তিও কাটায়। এছাড়া এই সবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন- এ আছে।  বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের একাধিক সমস্যা এড়াতে বিটের কোনও জুড়ি নেই।


ডিম: ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন দেহ সহজেই গ্রহণ করে নিতে পারে। ফলে দ্রুত মাংসপেশি শক্তি ফিরে পায়। তবে এক্ষেত্রে গোটা ডিমের বদলে ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জিমের পর ২টি বা তার বেশি ডিম খেতে পারেন। তবে ডিমের সংখ্যা বাড়ানোর  ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.