নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে ও সুখী থাকতে যা করবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বেঁচে থাকার জন্য সুখী হওয়া ও নিজেকে অনুপ্রাণিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুপ্রেরণা এবং সুখ হল চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট কিছু কৌশল অনুসরণ করলে জীবনে সুখী হওয়া যায়।


ভারতের ইনভেস্ট দ্য চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা এবং দ্য ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাশভি জিন্দাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সফল হতে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা একজন ব্যক্তির জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনুপ্রেরণা এবং সুখ একজন ব্যক্তিকে মার্জিত জীবনধারা পরিচালনা করতে সহায়তা করে। নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে এবং সুখী থাকতে তিনি দৈনিক পাঁচটি অভ্যাসের পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন-


সকালের রুটিন: একজন ব্যক্তির বিশেষ করে সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা উচিত । এই অভ্যাস তাকে শরীরচর্চা , স্নান করা এবং স্বাস্থ্যকর নাশতা করাসহ আরও অনেক কাজ পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে। সকালে ওঠার অভ্যাস একজন ব্যক্তিকে সারাদিন অনুপ্রাণিত এবং হাসিখুশি থাকতে সাহায্য করবে।


স্বাস্থ্যকর খাবার: একজন ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস তাকে সুখী হতে সাহায্য করে কারণ পুষ্টিকর খাবার শরীরে ভালো শক্তি সরবরাহ করে। ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ কিছু খাবার মস্তিষ্কে সুখী হরমোনের মাত্রা বাড়ায়।


মেডিটেশন: একজন ব্যক্তির সারা দিনে কমপক্ষে ১৫ মিনিট মেডিটেশনের জন্য সময় দেওয়া উচিত। এই অভ্যাস একজন ব্যক্তিকে মানসিক চাপ মুক্ত করে। পাশাপাশি বিষণ্নতা কমাতেও সাহায্য করে।


নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ: বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য, একজন ব্যক্তির নিজের জন্য প্রতিদিনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। প্রতিদিনের লক্ষ্যগুলি অর্জন করা তাকে তাকে আসল লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করবে।


শিখুন: একজন ব্যক্তির সবসময় নিজেকে একটা বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করা উচিত। শুধুমাত্র ডিগ্রি নিলেই শেখা শেষ হয় না। নতুন জিনিস শেখা একজন ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করে এবং খুশি রাখে।


সুখী থাকতে ফ্রোজেন ফানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভাসুকি পুঞ্জ কয়েকটি সুপারিশ করেছেন। এগুলো হলো-


১. প্রতি রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।


২. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। সম্ভব হলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটান। এটা আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে এবং সুখী হতে সাহায্য করবে।


৩. জীবনের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলির জন্য আপনাকে স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী দিনের পরিকল্পনা করতে হবে।


৪. জীবনের ছোট ছোট জয় উদযাপন এবং নিজেকে পুরস্কৃত করার অভ্যাস করুন।


৫. ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন লোকজনের সান্নিধ্যে থাকুন। তাদের সান্নিধ্য আপনাকে জীবনে ইতিবাচক হতে অনুপ্রাণিত করে।


ফিউশন কর্পোরেট সলিউশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনিকা কে ধাওয়ানের মতে, জীবনের সাফল্য লিঙ্গ, বয়স বা ভৌগলিক অঞ্চল দ্বারা প্রভাবিত হয় না বরং অভ্যাস দ্বারা প্রভাবিত হয়৷ নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে এবং সুখী থাকতে তিনি যে বিষয়গুলোর উপর জোর দিয়েছেন তা হলো-


আশাবাদ: নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে ও সুখী হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল দিনটি আশাবাদ দিয়ে শুরু করা। এজন্য মেডিটেশন করুন, সব কিছুর জন্য স্রষ্টাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর অনুশীলন করুন। নিজের মধ্যে একাগ্রতা আনতে গভীর শ্বাস নিন।


স্বপ্ন এবং লক্ষ্য: স্বপ্ন এবং লক্ষ্যই পারে একজনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এজন্য নিজের জীবনের স্বপ্ন ও লক্ষ্য ঠিক করুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.