যে কারণে বাড়ছে পরকীয়া, সমীক্ষায় এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক: নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সর্বদাই বেশি। সম্পর্কে ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে চলাই ভালো। কিন্তু বর্তমান সমাজে নিষিদ্ধ সম্পর্ক বা পরকীয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ! তবে চিরকালই পরকীয়া প্রেমের হাতছানিতে সাড়া দিয়েছেন বহু নারী ও পুরুষ। এ জন্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে এমন সম্পর্ককে।

কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? সমীক্ষায় বেরিয়ে এলো বেশকিছু তথ্য-


স্বামী স্ত্রী ছাড়া বা স্ত্রী স্বামী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত প্রেম, ভালোবাসা এবং যৌন সম্পর্ক করাকে পরকীয়া বোঝায়। এমন সম্পর্কের ফলে সংসার জীবনে তৈরি হয় অশান্তি। কিন্তু তারপরও কিছু দম্পতি পরকীয়ার দিকে ঝুঁকছেন কেন? সম্প্রতি চালানো এক সমীক্ষায় সেই বিষয়ে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গ্লিডেন নামের একটি ডেটিং অ্যাপের পক্ষ থেকে এই সমীক্ষা করা হয়েছে।


বিয়ে, পরকীয়া, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নিয়ম-রীতিতে ভারতে কেমন পরিবর্তন এসেছে, এসব বিষয়ের ওপরেই আলোকপাত করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে পরকীয়া প্রেমকে ‘ট্যাবু’ বানিয়ে রাখা হয়েছে। নীতিগত শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু এই সমীক্ষায় যেন অন্যরকম তথ্যই প্রকাশ্যে এলো!


ভারতের ১২টি শহরের ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী এক হাজার ৫০৩ জন বিবাহিত পুরুষ এবং নারীর ওপর এই সমীক্ষা করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮২ শতাংশ মনে করেন, সারা জীবন একই মানুষের সঙ্গেই কাটিয়ে দেওয়া অসম্ভব কিছু না। তাকেই প্রকৃত প্রেম বলা যায়। কিন্তু ৪৪ শতাংশ মানুষের মত, একসঙ্গে দুজনের প্রেমে পড়াই যায়। ৫৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নিজের সঙ্গী ছাড়াও অন্য কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে কোনো ক্ষতি নেই। আর ৩৭ শতাংশের মতে, সঙ্গীকে ভালোবাসলেও পরকীয়া প্রেমে জড়ানো যায়!


সমীক্ষায় অংশ নেয়া ৩৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, সম্পর্কে তাদের কোনো গুরুত্ব ছিল না। সঙ্গীর অবজ্ঞায় বারবার তাদের মন ভেঙেছে। সম্পর্ক ভালো রাখার জন্যে আবেগময় সমর্থন খুবই প্রয়োজন। দিনের পর দিন সেখানে ঘাটতি তৈরি হলে সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়তে পারে।


আর ২৩ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গীরাই প্রথমে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হন। এতে তারা কেমন দুঃখ পেয়েছিলেন, সেই কথা নিজের সঙ্গীকে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাই একই কাজ ঘুরিয়ে করেছেন তারা।


এ ছাড়া সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩২ শতাংশ মানুষ সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় সুখী ছিলেন না। কোনো শারীরিক পরিতৃপ্তি তারা পাচ্ছিলেন না। সেই কারণেই মূলত অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।


সম্পর্কে একঘেয়েমি বিষয়েও অনেক দম্পতি অভিযোগ করে থাকেন। বেশকিছু বছর একসঙ্গে কাটানোর পরে সম্পর্কে একঘেয়েমি চলে আসে। সেই সময় নতুন রোম্যান্সের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩২ শতাংশ মানুষ পুরোনো সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়েছিলেন বলেই নতুন প্রেমের ফাঁদে পা দিয়েছেন।


শুধু তাই নয়, আত্মবিশ্বাসের অভাবে অনেকেই নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা এখনও আগের মতোই আকর্ষণীয় আছেন কিনা, এই উত্তর খুঁজে বেড়ান এর প্রমাণ এবং মান্যতা পাওয়ার জন্য নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। ৩১ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে এমন উত্তরই পাওয়া গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.