বিবাহবিচ্ছেদের যত কারণ



 ODD বাংলা ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে। দাম্পত্যে নানা টানাপোড়েন থাকলেও একটা সময় পর্যন্ত মানুষ বিবাহবিচ্ছেদের কথা সহজে ভাবতে পারতো না। কিন্তু এখন জীবনের নানা বাঁকে যখনই মানুষ পারিবারিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, তখন বিচ্ছেদ বেছে নিচ্ছে।


আধুনিক সমাজে কেন বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ তা জানানো হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম 'টাইমস অব ইন্ডিয়া'র এক প্রতিবেদন। যেমন-


অবিশ্বাস: সঙ্গীকে ঠকানো এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ। সম্পর্কে একবার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে তা জোড়া লাগানো বেশ কঠিন।


পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ: পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ কমে গেলে দুজনের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি,হতাশাবোধ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তা বিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দেয়।


আর্থিক সংকট: বিবাহবিচ্ছেদের আরেকটি বড় কারণ অর্থনৈতিক সংকট। ঋণ, দৈন্যতা, অর্থ না থাকায় হতাশাবোধ বৈবাহিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে। পরবর্তীতে তা বিচ্ছেদে রুপ নেয়।


দিনের পর দিন তর্কাতর্কি: কোনো বিষয় নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে দিনের পর তর্কাতর্কি এবং মানসিক দ্বন্দ্ব ধীরে ধীরে দাম্পত্য ফাটল ধরায়। দম্পতিরা এ ধরনের সমস্যা কাটাতে না পারলে বিচ্ছেদ অনিবার্য।


অন্তরঙ্গতার ঘাটতি: সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক যোগাযোগের ঘাটতি হলে সম্পর্কে দুরত্ব চলে আসে। ধীরে ধীরে একাকীত্ব বাড়ে। পরবর্তীতে তা বিচ্ছেদে রুপ নেয়।


বদলে যাওয়া: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বদলে যায়। তার চিন্তা-ভাবনা, আচরণেও আসে পরিবর্তন। এতে সম্পর্কেও প্রভাব পড়ে। সঙ্গীর এমন পরিবর্তন অনেকে মেনে নিতে পারে না। পরবর্তীতে বিচ্ছেদই হয় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।


বিভিন্ন অগ্রাধিকার: যখন দুজনের জীবনে আলাদা আলাদা ব্যাপারের অগ্রাধিকার থাকে তখন তা সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। এমন হলে কখনও কখনও দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এর ফলে হয় বিচ্ছেদ।


নেশার প্রতি আসক্তি: কারও যদি নেশার প্রতি আসক্তি থাকে তাহলে তা সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। সঙ্গী যদি মাদকাসক্ত হয় এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে না চায় তাহলে তা বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


পারিবারিক সহিংসতা: বিাবাহবিচ্ছেদ বাড়ার অন্যতম বড় কারণ পারিবারিক সহিংসতা। কেউ এ ধরনের সমস্যায় ভূগলে অবশ্যই অন্যদের জানানো ও সহায়তা নেওয়া উচিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.