ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, কেন হলো এমন নাম?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণাবর্তের রূপ নেবে। ৬ মে’র পর শক্তি সঞ্চয় করে সেটি বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়বে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। দেশটি বলছে, পশ্চিম বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব পড়তে পারে।

এদিকে, কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বুধবার (৩ মে) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী ১২ মে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

তিনি ধারণা করছেন, ১২ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বাংলাদেশের স্থলভাগে উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।


কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন দেওয়া হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এক কফির নামে? তা নিয়ে বাঙালিদের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে।


বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে বিভিন্ন দেশ। যেমন এর আগে বাংলার বুকে আঘাত হানা ‘সিত্রং’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল থাইল্যান্ড। তেমনই ‘মোখা’ নামটি দিয়েছে আরব সাগরের প্রান্তে অবস্থিত ইয়েমেন।


যদিও ‘মোখা’ শব্দের আক্ষরিক কোনো অর্থ নেই। ইয়েমেনের বন্দর শহর ‘মোখা’ (উচ্চারণ মোকা)-র নামে ঘূর্ণিঝড়ের এই রকম নামকরণ করা হয়েছে।


১৯ শতক পর্যন্ত মোখা ছিলো ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বন্দর। এই শহরেই বিখ্যাত কফি ‘মোকা’র চাষ হয়। কফির নামকরণও হয়েছে শহরের নামেই। বহু বছর ধরে মোখা বন্দর দিয়েই দেশ-বিদেশে ‘মোকা’ কফি রফতানি করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.