উড়ে আসা বন্য গাছের পাতা থেকে আজকের চা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রোজ সকালে চায়ের কাপে ঝড় ওঠে; দোকানে কিংবা ঘরে! বন্ধু কিংবা অফিসের কলিগদের সঙ্গে আড্ডার প্রধান ‘বাহানাও’ চা! ‘চায়ের দাওয়াত রইলো’—আমন্ত্রণপত্রেও এমন পঙ্ক্তি চোখে পড়ে হরহামেশা। তবে এটাকে ইংরেজিতে টি (TEA) বলা হয় কেন, তা জানেন কি? চলুন জেনে নেয়া যাক চা সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য। 

চা কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল? প্রতিবেদন অনুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩২ সালে রাজা শেন নুং চা আবিষ্কার করেছিলেন। তার ফুটন্ত জলের পাত্রে একটি বন্য গাছের পাতা উড়ে গিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরই তিনি দেখলেন, এই পাতা তার রঙ-গন্ধ উভয়ই পরিবর্তন করে। এসময় রাজা এর নাম দেন চা, এই চীনা অক্ষরের অর্থ হল ‘খোঁজা’। 


প্রথম দিকে পাতাগুলোকে ছিঁড়ে জলে সিদ্ধ করে একটি তিক্ত ক্বাথ তৈরি করা হত। চা পাতা প্রাথমিকভাবে ওষুধ হিসেবে এবং দ্বিতীয়ত একটি আরামদায়ক পানীয় হিসাবে ব্যবহার করা হতো। চীনা সাম্রাজ্যজুড়ে চা জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে ৩০০০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল।


চা প্রথমে ছিল ধনীদের পানীয়। ইউরোপের ডাচরা চা ব্যবহার করা শুরু করেছিল ১৬১০ সালে। ১৬৫০ সালের দিকে ব্রিটেনে এটির প্রচলন শুরু হয়েছিল। আর কী, এটা সাধারণ মানুষেরও প্রিয় পানীয়তে পরিণত হল। কিন্তু সরকার ফের ট্যাক্স চাপাল চা-র উপর, ফলে এটি ফের কুক্ষিগত হল বড়লোকদের। 


চায়ের নাম টি হল কেন? চায়ের চাহিদা বাড়ার পর দেশে-বিদেশে এর সরবরাহ দ্রুত বেড়েছে। এরপর এই চা সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করতে থাকে। একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থলপথে চা যেখানে পৌঁছত, তখন তাকে বলে হত ‘চা’। আর আরাশ পথে পৌঁছলে ‘টি’। যদিও পরে অভিধানে Tea-এর অর্থ ‘চা’-ই বলা হয়েছে।


১৯ শতকে চা পান ব্রিটিশ সামাজিক জীবনের একটি অংশ হয়ে ওঠে। ফ্যামিলি টি, পিকনিক টি, টেনিস টি নামে একাধিক নামে নানা পার্টির আয়োজন করা হত। সেই সময় এই টি-পার্টিকে সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হতো।


হতে পারে চায়ের উৎপত্তি চীনে, কিন্তু এখন এটি সর্বত্র সহজলভ্য। প্রত্যেক দেশের মানুষই তাদের স্বাদ অনুযায়ী এটি পান করতে পছন্দ করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.