সাঁতার না সাইকেল চালানো? ওজন কমাতে কোনটা বেশি কার্যকর
ODD বাংলা ডেস্ক: শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়ামের মধ্যে সাঁতার কাটা আর সাইকেল চালানো দুটিই বেশ উপকারী। তবে এই দুটির মধ্যে কোনটি ওজন কমাতে বেশি সাহায্য করে তা নিয়ে হয়তো অনেকের প্রশ্ন আছে। সাঁতার এবং সাইকেল চালানোর নানা উপকারিতা কথা জানানো হয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে।
সাঁতার কাটা: সাঁতারে সারা দেহেরই ব্যায়াম হয়। সাঁতার কাটতে গেলে শরীরের সবকটি পেশিকেই ভালো মতো সঞ্চালন করতে হয়। পাশাপাশি মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবকটি অঙ্গই এতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, সাঁতার শুধু শরীরের বিভিন্ন পেশি মজবুত করে, তা নয়। এর পাশাপাশি, এটি রক্তের সঞ্চালনও ভালো রাখে।
নিয়মিত সাঁতার কাটলে হৃদরোগ দূরে থাকে। কারণ কার্ডিয়োভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে সাঁতার। সাঁতার কাটতে গেলে শ্বাস ধরে রাখা ও ছাড়ার বড় ভূমিকা রয়েছে। ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাও অনেকটা দূর হয়। অস্থিসন্ধির সমস্যায় ভোগা রোগীর জন্যও সাঁতার কাটা ভালো।
মেদ ঝরাতে কম তীব্রতার ব্যায়াম করা ভালো। সাইকেল চালানোর সাথে তুলনা করলে সাঁতার একটি কম-তীব্রতার ব্যায়াম হিসাবে ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কেজি ওজনের একজন মানুষ এক ঘন্টা সাঁতার কাটলে প্রায় ৭৫০ ক্যালরি ঝরে।
এছাড়াও, সাঁতার একটি নিখুঁত ওয়ার্কআউট কারণ এতে শরীরের উভয় অংশই ব্যবহার করা হয়। যদি সঠিকভাবে সাঁতার কাটা যায় তাহলে শরীর ও মন ভালো থাকবে।
সাইকেল চালানো: যদি মাঝারি গতিতে সাইকেল চালানো হয় তাহলে এটি কম তীব্রতার ব্যায়াম হিসাবে বিবেচিত হয়। সাইকেল চালানোর কিছু অসুবিধা হল যদি সাইকেলটি সঠিক আকারের না হয় বা আপনি যদি এটি সঠিকভাবে চালাতে না পারেন তাহরে আঘাত পেতে পারেন। যদিও আপনার দৈনন্দিন রুটিনে এই ব্যায়ামটি অন্তর্ভুক্ত করা সহজ কারণ সাইকেল চালিয়ে আপনি সহজেই বাজার বা অফিসে যেতে পারেন। সাঁতারের মতো এতে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার দরকার নেই।
সাইকেল চালালে পেশির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সাইকেল চালালে সাঁতারের চেয়ে বেশি শরীরের নীচের অংশের উপকার হয় কারণ এতে পা কাজ করে। ৭০-৮০ কেজি ওজনের একজন মানুষ প্রতিদিন ঘণ্টা প্রতি ১০-১৫ মাইল গতিতে সাইকেল চালালে প্রায় ৬০০ ক্যালরি ঝরে। তবে ওজন কমাতে একই সময়ে আরও বেশি ক্যালরি ঝরে সাঁতার কাটলে।
মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য ডায়েট ৭০ শতাংশ ভূমিকা রাখে। পাশপাশি ওজন কমাতে আপনি কোন ব্যায়ামটি দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করবেন তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা নেওয়াই ভালো। তবে, সাঁতার এবং সাইক্লিং দুটিই পেশি তৈরি করতে, ফুসফুস ভালো রাখতে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
Post a Comment