মে মাসেই কেন বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয় বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়?

ODD বাংলা ডেস্ক: মে মাস পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলির কাছে দুর্যোগের মাস হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকার আগমন বার্তা শোনার পর থেকেই মে মাসের গত কয়েক বছরের ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের স্মৃতি জেগে উঠেছে। ২০২০ সালের আমফান থেকে শুরু করে পর পর ২০২১ এবং ২০২২ সালে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।এবছরে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ৬ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তটি ধীরে ধীরে রূপ নিতে শুরু করবে। প্রথমে নিম্নচাপের আকারে থাকলেও সেটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়ার প্রতিটি মুহূর্তের উপরে এখন নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।

প্রসঙ্গত মে মাসকে এক প্রকার অভিশপ্ত মাস বলা যায়। ২০২০ সাল থেকে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে মে মাসে। এবং সেগুলি তাণ্ডব চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, বাংলাদেশে। ২০২০ সালে আম্ফানের দাপটে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল শহর কলকাতা। তার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ২০২১ সালে হাজির হয় ঘূর্ণিঝড় অশনি। সেটার দাপট আছড়ে পড়েছিল ওড়িশায়। লণ্ড ভণ্ড হয়ে গিয়েছিল ওড়িশা উপকূল। তার পরের বছর ২০২২ সালে আবার সেই মে মাসেই তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় যশ। তার ধাক্কাও এসে পড়েছিল বঙ্গে।

একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঠিক এই মে মাসেই তৈরি হচ্ছে। তার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন তাপমাত্রা হঠাৎ করে চড়তে শুরু করায় বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জলীয় বাষ্প তৈরি হয়। তার সঙ্গে একাধিক ফ্যাক্টর কাজ করে যা ঘূর্ণাবর্ত তৈরির জন্য আদর্শ। সেকারণেই মে মাসে প্রতিবছরই শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.