একটানা ৭৪ দিন জলের নিচে, বিশ্বরেকর্ড করেও থামছেন না

 


ODD বাংলা ডেস্ক: একটানা ৭৪ দিন ধরে বাস করছেন জলের নিচে! না, তিনি শখের বসে জলের নিচে সময় কাটাননি। এই সময়ে তিনি গবেষণা করেছেন। তার এই গবেষণার নাম প্রজেক্ট নেপচুন হান্ড্রেড। দীর্ঘ এই সময়ে জলের নিচে শরীর কী প্রতিক্রিয়া জানায় সেটাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক জোসেফ ডিটুরি জলের নিচে সবচেয়ে বেশি সময় থাকার বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছেন। জোসেফ ডিটুরি নামে এই গবেষক ফ্লোরিডার কি লার্গোতে ৩০ ফুট জলের নিচে একটি হোটেলকক্ষে ৭৪ দিনের বেশি সময় থেকেছেন। তবে এখনই থামার পরিকল্পনা নেই তার। কি লার্গোতে জলের নিচে যে হোটেলে তিনি ছিলেন সেটির নাম জুল আন্ডারসি লজ। খবর বিবিসি


সাবমেরিনের মতো এই হোটেলে জলের নিচের বাড়তি চাপ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না। গত ১ মার্চ থেকে জলের নিচের এই হোটেলে অধ্যাপক ডিটুরির থাকা শুরু করেন। এই হোটেলের নামকরণ করা হয়েছে কল্পবিজ্ঞান লেখক জুল ভার্নের নামানুসারে। ভূপৃষ্ঠের ৩০ ফুট নিচে অবস্থিত হোটেলটির আয়তন ১০০ বর্গফুট। জলের নিচেই ইন্টারনেট সেবাসহ মিলছে আধুনিক অনেক সুবিধা।


জোসেফ ডিটুরি জানিয়েছেন, এই আন্ডারওয়াটার হোটেলে তিনি অন্তত ১০০ দিন থাকতে চান। তিনি বলেন, ভাবিনি রেকর্ড হবে। ভালো লাগছে, সম্মানিত বোধ করছি। তবে এখনও আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। অনেক কাজ বাকি। এই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানের সুফল আরও একবার মানুষকে দেখাতে চাই।


তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা, সাক্ষাৎকার নেওয়া সেই বিজ্ঞানীদের, যারা সমুদ্রের নিচের জীবন অধ্যয়ন করেন এবং জানেন কীভাবে মানবদেহ চরম পরিবেশে কাজ করে। এই সময়ে সত্যি বলতে আমি যা মিস করেছি তা হলো সূর্য। আমি সাধারণত পাঁচটায় জিমে যেতাম। সেখান থেকে বের হয়ে প্রতিদিনই সূর্যোদয় দেখতাম।


প্রতিদিন জোসেফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ডাঙায় ফিরলে হবে মানসিক পরীক্ষাও। গবেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে গভীর সমুদ্রে মানুষের মিশনকে আরো সহজ করতেই চলছে এই গবেষণা।


এর আগে জলের নিচে সবচেয়ে বেশি সময় থাকার রেকর্ড ছিল দুই অধ্যাপকের। ২০১৪ সালে এই কি লার্গোর হোটেলে তারা রেকর্ডটি গড়েন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.