এই গরমে খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো কতটা উপকারী জানেন, জানলে অবাক হবেন আপনিও

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গ্রীষ্মের মরসুমে, প্রায়শই কম বেশি লোডশেডিং-এর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তবে, আজকাল মানুষ তাদের বাড়িতে ইনভার্টার বসিয়েছে। তবে, আজও ছোট শহর এবং গ্রামে, বিদ্যুৎ না থাকলে বেশিরভাগ লোকেরা তাদের বাড়ির ছাদে ঘুরে বেড়ায়। ভারতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ আছেন যারা আলোর সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ছাদে ঘুমাতে পছন্দ করেন। গ্রামের মানুষ এখনও প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকতে পছন্দ করে এবং তারা ছাদে বা খোলা আকাশের নিচে ঘুমাতে পছন্দ করে। খোলা আকাশের নিচে ঘুমালে শুধু ভালো ঘুম হয় না, মানসিক শান্তিও পাওয়া যায়।


গরমে খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো কি উপকারী-


বহু শতাব্দী ধরে ভারতে মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাতে পছন্দ করে আসছে। গত কয়েক দশকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কিছু মানুষ এখনও ফ্যান, কুলার বা এসি-তে ঘুমানো এড়িয়ে খোলা আকাশের নীচে ঘুমাতে পছন্দ করে। খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়ে আপনি নিজেকে প্রকৃতির কাছাকাছি খুঁজে পাবেন এবং খোলা বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন মন খুলে। রাত গড়িয়ে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়াও ঠাণ্ডা হতে থাকে। আপনি তাজা বাতাস পাবেন। যা মানসিক শান্তি দেয়, এতে আপনি নিজের মধ্যে শান্তি অনুভব করবেন।


খোলা আকাশের নিচে ঘুমানোর সঠিক উপায় কী?


গ্রীষ্মের মরসুমে খোলা আকাশের নিচে ঘুমানোর আগে, জল দিয়ে শোওয়ার জায়গা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন বা আপনার ঘুমানোর জায়গায় ঠান্ডা জল ছিটিয়ে দিন। এর ফলে গরম মাটির তাপমাত্রা কমবে। যদি ছাদে মশা কামড়ায় তাহলে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাবেন এবং যেখানে মাথা রাখতে চান সেই পাশে মশারির ওপর একটি কাপড় রাখুন, যাতে শিশির লেগে ঠাণ্ডা না লাগে আর ঘুমের চোখে সকালে আলো পড়লে বিরক্ত না লাগে। কারণ এর ফলে শুধু আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না, বরং আইসনোফিলিয়া এবং ঠান্ডা-গরমের সমস্যাও দেখা দেবে। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে খোলা আকাশের নিচে ঘুমানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে।


তবে যাদের বাড়ির কাছে কল-কারখানা আছে বা পরিবেশ বাইরো শোওয়ার পক্ষে সুরক্ষিত নয়, তারা এই কাজ ভুল করেও করতে যাবেন না এক্ষেত্রে ঘরের জানলা সুরক্ষিত থাকলে তা খুলে ঘুমোন যাতে বাইরের টাটকা হাওয়া ঘরে আসতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.