চেনা পোষ্যের অচেনা ব্যবহার, কারণ...

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমরা অনেকেই শখ করে বিড়াল পুষে থাকি। ঠিক যেমন- বাড়িতে নিজের ছয়টি পোষ্য বিড়াল রয়েছে জয়ার। কোনো কারণ ছাড়াই বিড়ালগুলো ছোটাছুটি করছে তার। তবে খেলার জন্য নয়, তারা আসলে ভয় পেয়েছে। এমনটি যেকোনো পোষ্য বিড়ালই করতে পারে। কিন্তু কেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিড়াল যখন ভয় পায়, তখন তাদের আচার-আচরণে সেটা প্রকাশ পায়। চেনা পোষ্যের অচেনা ব্যবহার কেমন হবে আর তখন কী বা করবেন?


খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, দরজায় সামান্য ঘণ্টার শব্দে লুকিয়ে পড়ছে। হঠাৎ পরিবারের সদস্যদের অথবা অতিথিদের দেখলেই কেমন যেন সাবধানী হয়ে পড়ছে। আবার লিটার বক্সের বাইরে ঘরের যেখানে-সেখানে ইউরিনেট কিংবা মলত্যাগ করছে। এই অদ্ভুত আচরণ দেখলেই বুঝতে হবে আপনার পোষ্য ভয় পেয়েছে।


এখন প্রশ্ন হলো বিড়াল কোনো কারণ ছাড়া ভয় পেল কেন? এটা বুঝতে হলে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া পুরো ব্যাপারটাতে খেয়াল রাখতে হবে। একজন অতিথির উপস্থিতি আপনার কাছে খুব আনন্দের হলেও পোষ্যটির কাছে একটা নতুন গন্ধ, নতুন মানুষ এবং দৈনন্দিন রুটিনে ছন্দ পতন। আপনি হয় তো এই ব্যাপারটা খেয়ালই করেননি। এছাড়াও নতুন পোষ্য আসা, নতুন সন্তান আসা, বাড়ির ইন্টেরিয়রের পরিবর্তনও তার ভয়ের কারণ হতে পারে।


ক্যাট বিহেভিওর কনসালট্যান্ট ডক্টর মাইকেল ডেলগ্যাডোর মতে, তারা আসলে ‘মেসোপ্রিডেটরস’ অর্থাৎ তারা ফুডচেইনের একেবারে উপরের সারিতে নেই। অন্য প্রাণীর মতো তারাও কিন্তু শিকার হতে পারে, এই ভয়টা বিড়ালদের মধ্যে আছে। তাই অপরিচিত বা অচেনা পরিস্থিতিতে তারা সাবধানী হয়ে পড়ে। এখান থেকেই জন্ম নেয় ভয়। এমন সময় বিড়াল অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। সে ঘন ঘন সারা শরীর চাটতে থাকে।


এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে বিড়ালের এই উদ্বেগের উপশম করা যায়? তার একমাত্র উত্তর, বিড়ালের অস্বস্তির কারণগুলো যতটা সম্ভব দূর করে দেওয়া। বাড়িকে বিড়ালদের জন্য আরো বেশি করে ‘হ্যাপিয়ার হোম’ করে তুলতে হবে। প্রাকৃতিক কারণে বিড়াল শিকার করতে পছন্দ করে। তাই শিকার-শিকার খেলায় ব্যস্ত রাখতে পারলে তার মনের পক্ষে ভালো। বাড়িতে যদি একাধিক বিড়াল থাকে তা হলে তাদের জন্য আলাদা লিটার বক্স আর ফিডিং স্টেশন রাখতে হবে। তাহলে স্ট্রেস কমবে অনেকটাই। অনেক বিড়াল ‘ভার্টিকাল স্পেস’ পছন্দ করে। তাদের জন্য ‘ক্যাট ট্রি’ ব্যবহার করলে ভালো হয়। যেখান থেকে তারা পুরো বাড়ি নিরাপদ দূরত্ব থেকে দেখতে পাবে। নিরাপদ জায়গায় থাকলে তার টেনশন কমবে।


এই সবকিছুই হলো বিড়ালের মনকে উদ্বেগ মুক্ত করার জন্য। এখন এর কোনো কিছুতেই যদি বিড়াল সাড়া না দেয়, তা হলে ‘ফিলাইন ফেরোমোন’ ব্যবহার করুন। এই রাসায়নিকটি ডিফিউজার বা স্প্রে হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। এতেও পোষ্যের উদ্বেগ কমে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.