অ্যাসিডিটি দূর করে যেসব খাবার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অ্যাসিডিটির সমস্যা শিশু থেকে শুরু করে কমবেশি সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এ সমস্যা হয় মূলত অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঠিকমতো না ঘুমানো, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং একাধিক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ সেবনের ফলে। শুরু থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে সতর্ক হওয়া উচিত। না হলে নানান রোগের মুখোমুখি হতে হবে।


অ্যাসিডিটি এড়াতে সাহায্য করবে যেসব খাবার

ঔষধি খাবার: পুদিনা, তুলসী ও কালো মেঘের পাতা, চিরতা ইত্যাদি ঔষধি উপাদান পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদনে সাহায্য করে। তা ছাড়া খাবার হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এ ধরনের খাদ্য উপাদান। তাই অ্যাসিডিটি এড়াতে এসব পাতার রস কিংবা এগুলোর কোনো কোনোটি জলে ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে।


মসলার উপাদান: মৌরি, লবঙ্গ, আদা, কাঁচা হলুদ, জিরা, এলাচি এবং গোলমরিচ রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদানে অ্যান্টি-আলসার উপাদান রয়েছে, যা অতিদ্রুত খাবার হজমে সহায়তা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকে।


কলা, শসা, পেঁপে ও আমলকী: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদন করে। এর আঁশ খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে। শসা ও পেঁপে অ্যাসিডিটি দূর করে। এ ছাড়া দৈনিক তিনটি করে আমলকী কিংবা এক গ্লাস জলে এক চামচ আমলকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি দূর হয় এবং বুকের জ্বালাপোড়া কমে যায়।


ঠান্ডা দুধ ও দই: ঠান্ডা দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা অ্যাসিড উৎপাদনে বাধা দেয়। দইয়ে ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা খাবার দ্রুত হজম সহায়তা করে। পাশাপাশি খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এ জন্য খাবারের পর দই খাওয়া ভালো, বিশেষ করে টক দই কিংবা মাঠা।


অ্যাসিডিটি কমাতে আরও কিছু করণীয়

⊲    প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ না করে এক থেকে দেড় গ্লাস জল খেতে হবে, যা তৈরি হওয়া গ্যাস দূর করতে সাহায্য করবে।

⊲    প্রতিদিন খাওয়ার কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে ও পরে জল খেতে হবে। খাওয়ার মাঝখানে অতিরিক্ত জল খাওয়া যাবে না।

⊲    অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড কিংবা ট্রান্সফ্যাট-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।


সময়মতো ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। কোনো ধরনের মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.