এখানে পৌঁছতে সর্বস্ব ত্যাগ করেন স্বয়ং মহাদেব! চমকে দেবে অমরনাথ যাত্রার অজানা কথা
ODD বাংলা ডেস্ক: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এই বছরের অমরনাথ যাত্রার। ১ জুলাই থেকে অমরনাথ খুলে দেওয়া হবে সাধারণ তীর্থযাত্রীদের জন্য। তার আগে অমরনাথের বাবা বরফানি অর্থাত্ অমরনাথ গুহার ভেতরে প্রাকৃতিক ভাবে বরফ দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছর নিজে থেকেই বরফ দিয়ে গুহার ভেতরে একটি শিবলিঙ্গ তৈরি হয়। এই গুহায় স্বয়ং মহাদেবের বাস বলে হিন্দু ধর্মের প্রচলিত বিশ্বাস। সেই কারণে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে অমরনাথ অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান। নিজে থেকেই গুহার ভেতরে এই শিবলিঙ্গ তৈরি হয় বলে একে স্বয়ম্ভূ হিমানি শিবলিঙ্গ বা বাবা বরফানি বলা হয়ে থাকে।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে স্বয়ং মহাদেব মাতা পার্বতীকে এই গুহার ভেতরে মুক্তিলাভের পথের সন্ধান দিয়েছিলেন। সেই জ্ঞান অমর কথা নামে পরিচিত বলে পরিচিত হওয়ায় এই স্থানকে অমরনাথ বলা হয়ে থাকে। পুরাণ অনুসারে মহাদেব পার্বতীকে অমরত্বের শিক্ষা দিতে এই স্থানে নিয়ে এসেছিলেন। গভীর ভাবে ধ্যানস্থ হওয়ার উদ্দেশ্যে শিব কৈলাস পর্বত ত্যাগ করে অমরনাথের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এখানে পৌঁছতে শিব তাঁর সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন। অর্থাৎ তাঁর ষাঁড় নন্দিকে পহেলগাঁওয়ে ত্যাগ করেন, তাঁর শিরস্থ চন্দ্রকে ত্যাগ করেন চন্দনওয়াড়িতে, গলা থেকে সাপ খুলে তা শেষনাগ হৃদে ত্যাগ করেন এবং মহাগণেশ পর্বতে রেখে আসেন পুত্র গণেশকে। এছাড়া বায়ু, অগ্নি, জল এবং মৃত্তিকাকে তিনি পঞ্জতর্ণীকে ত্যাগ করেন। অমরনাথ গুহার ভেতরে প্রবেশ করে তিনি দেবী পার্বতীকে জীবন ও অমরত্বের অর্থ বোঝান। আরও উল্লেখযোগ্য হল, শিবক্ষেত্রের পাশাপাশি অমরনাথ অন্যতম সতীপীঠও। এখানে সতীর গলা ও গোড়ালি পড়েছিল বলে প্রচলিত বিশ্বাস। তাই শিবভক্তদের পাশাপাশি দেবী পার্বতীর ভক্তদের কাছেও অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এই অমরনাথ।
১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে অমরনাথ যাত্রা। ১৩ থেকে ৭৫ বছর বয়সীরাও অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন। এই বাবা বরফানিকে দর্শন করতে ৮ লক্ষ পূণ্যার্থী নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই তীর্থক্ষেত্র। বরফ দিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি এই শিবলিঙ্গ সবথেকে বড় হয় শ্রাবণ মাসের শুক্রপক্ষের পূর্ণিমায়। তারপর ধীরে ধীরে আকার ছোট হতে থাকে এই শিবলিঙ্গের। এক মুসলিম মেষ পালক প্রথম এই শিবলিঙ্গ আবিষ্কার করেছিলেন। সেই কারণে আজও তাঁর উত্তর পুরুষরা অমরনাথ তীর্থযাত্রা থেকে উপার্জিত অর্থ থেকে একটা অংশ লাভ করেন
Post a Comment