সন্তানের পড়াশোনায় মন বসে না? বাস্তু ও জ্যোতিষ জানাচ্ছে সহজ উপায়
ODD বাংলা ডেস্ক: বাচ্চাদের পড়াশোনা করানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিছু কিছু বাচ্চারা নিজে থেকেই পড়ে নেয়, তাঁদের পড়াশোনায় মনও বসে। আবার কিছু কিছু বাচ্চারা খুব বেশি ক্ষণ পড়াশোনায় মন টিকিয়ে রাখতে পারে না। এদের মধ্যে একাগ্রতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই মা-বাবার মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে। এ ক্ষেত্রে বাস্তু শাস্ত্রের কয়েকটি নিয়ম মেনে পড়াশোনায় বাচ্চাদের মন বসাতে পারেন। বাস্তু ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু উপায় জানানো রয়েছে, যা মেনে চললে বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি রুচি বাড়বে ও মন একাগ্র করা সহজ হবে।
মোমবাতি জ্বালান
বাচ্চাদের কক্ষের পূর্ব, উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মোমবাতি জ্বালান। এর প্রভাবে বাচ্চাদের মন পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। এমনকি তাঁদের বৌদ্ধিক ক্ষমতার বিকাশ হবে।
কোন দিকে মোমবাতি লাগাবেন না
তবে ভুলেও বাড়ির উত্তর দিকে মোমবাতি লাগাবেন না। তা না-হলে অর্থ আগমনের পথ বন্ধ হবে। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাব বিস্তার করবে উত্তর দিকে লাগানো মোমবাতি।
এ ছাড়াও বায়ব্য কোণ অর্থাৎ উত্তর-পশ্চিম দিকেও মোমবাতি লাগানো উচিত নয়। এখানে মোমবাতি রাখলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অশান্তি দেখা দিতে পারে। মনের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের প্রতি হিংসা ও দ্বেষ উৎপন্ন হয়।
পড়ার টেবিল চেয়ারের আকৃতি
বাস্তু ও জ্যোতিষ মতে বাচ্চাদের পড়ার টেবিল আয়তাকৃতি হওয়া উচিত। এ ছাড়া অন্য কোনও আকারের টেবিল আকৃষ্ট করলেও, তাতে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা যায় না। টেবিল এ ভাবে রাখবেন যাতে, বাচ্চাদের মুখ দেওয়ালের দিকে না-থাকে। আবার এমন চেয়ার কিনবেন, যার পিঠ হেলান দেওয়ার অংশটি মজবুত হয়।
বাচ্চাদের একাগ্রতা বৃদ্ধির জ্যোতিষ উপায়
১. জ্যোতিষ অনুযায়ী বিষ্ণুর ছবির সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান ও তার পর কলাগাছে জল অর্পণ করার পর সেখানকার মাটি দিয়ে বাচ্চাদের তিলক করলে বিশেষ লাভ অর্জন করা যায়।
২. জ্যোতিষ অনুযায়ী আপনার সন্তান যদি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে না-পারে, তা হলে তাঁর পকেটে ছোট টুকরোর ফিটকিরি রেখে দিন। সন্তানের মস্তিষ্ক ও নাভিতে প্রতিদিন জাফরানের তিলক লাগাবেন।
৩. পড়াশোনার প্রতি বাচ্চাদের রুচি বাড়ানোর জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার বিষ্ণু মন্দিরে নিজের সামর্থ অনুযায়ী ধর্মীয় পুস্তক ও পেন দান করুন।
৪. স্টাডি টেবিল সব সময় পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখবেন।
Post a Comment