পুজোর আগেই চেহারায় আসবে সোনার চমক! রামদেবের এই ৫ আসনে হবে বাজিমাত

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  এই সময় প্রকৃতিতে কখনও চড়া রোদ, আবার কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তার উপর কাজের চাপ, ব্যস্ত রুটিন। সব মিলিয়ে চেহারার একেবারে দফারফা।


আসলে আমাদের সঙ্গে যা কিছু খারাপ ঘটে, তার ছাপ আমাদের ত্বকের উপর পড়ে। ত্বক সুন্দর ও ঝলমলে রাখতে শরীরে যথাযথ রক্ত সঞ্চালন অত্যন্ত জরুরি। ভুল খাবার, স্ট্রেস ও লাইফস্টাইলের সমস্যার জন্য ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। দুর্গাপুজোর আগে ত্বকের হারানো জৌলুস ফেরাতে ভরসা রাখুন যোগব্যায়ামের উপর। কারণ যোগা করলে আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক হয়। যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন যে স্বাভাবিক উপায়ে ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা উপায় হল যোগাসন । সঠিক যোগাভ্যাসের ফলে একজন ৫০ বছরের প্রৌঢ়কে ২৫ বছরের তরুণ মনে হতে পারে। আজ আমরা আপনাদের বলব এমন কয়েকটি যোগাসনের কথা, যেগুলি আজ থেকেই করা শুরু করলে পুজোর আগে ত্বকে  পাবেন সোনার মতো জৌলুস।


জগিং


রামদেব বলছেন যে আপনার বয়স যদি ৫০-এর হয়, তাহলে নানা ধরনের জগিং আপনি করতে পারেন। ত্বককে ভালো রাখার জন্য জগিং অত্যন্ত উপকারী। রোজ ১০ থেকে ২০ মিনিট জগিং করুন। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে স্পট জগিং-ও করতে পারেন।


সূর্য নমস্কার


শরীরের পজিটিভ এনার্জিকে সক্রিয় করে তোলে সূর্য নমস্কার। এর ফলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং নার্ভাস সিস্টেম শক্তিশালী হয়। এছাড়া মুখে একটা স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে সূর্য নমস্কার।


দণ্ড বৈঠক


স্বামী রামদেব বলছেন যে দণ্ড বৈঠক আসনটি প্রতিদিন করলে পেটের মেদ কমবে। এটি মাসল পাওয়ার বাড়ায় এবং শরীরকে সুন্দর শেপ দেয়। দণ্ড বৈঠক করলে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়।


শীরাসন


এই আসন মস্তিষ্কে সঠিক রক্ত সঞ্চালন ঘটায়। এর ফলে চুল ভালো থাকে। এ ছাড়া শীরাসন করলে মনঃসংযোগ, এনার্জি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। শীরাসন নিয়মিত করলে মুখে বলিরেখার ছাপ কমে যায়।


সর্বাঙ্গাসন


এটি হল গোটা শরীরের আসন। এর ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন খুব ভালো হয়। তার ফলে চেহারায় দারুণ ঔজ্জ্বল্য আসে।


ময়ূরাসন


অল্পবয়সীরা দেড় মিনিট ধরে এই আসনটি করতে পারেন। এই আসন করলে আপনাকে বয়সের থেকে অনেক ছোট দেখাবে।


সুখসমা ব্যায়াম


কোনও কারণে আপনি যদি জগিং ও ময়ূরাসনের মতো আসন করে উঠতে না পারেন, তাহলে এই ব্যায়ামটি করুন। এর ফলে ত্বকে স্বাস্থ্যের দীপ্তি ছড়িয়ে পড়বে।


প্রাণায়ম


চেহারা সুন্দর রাখার জন্য যোগাসনের সঙ্গে নিয়মিত প্রাণায়ম করাও একান্ত জরুরি। অনুলোম বিলোম, কপালভাতি, ভ্রামরী, ভসত্রিকা, উদ্ধিত এবং উজ্জয়ী প্রাণায়ম আপনাকে বরাবর চিরজৌবনের দূত করে রাখবে। প্রাণায়ম করলে ব্লাড সুগার ও ব্লাড প্রেশারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.