কোমরের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? জেনে নিন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা, এগুলির ব্যবহারে নিমেষেই হতে পারে ব্যথার উপশম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের তথ্য অনুসারে, প্রায় প্রত্যেক মানুষই জীবনের কোনও না কোনও সময় কোমরের ব্যথায় ভোগেন।


প্রায় ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোমরের ব্যথায় কষ্ট পান, যাঁরা ভিন্ন ভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং ভিন্ন ভিন্ন রুটিন ফলো করেন।


চিকিৎসকের পরামর্শ এবং নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ছাড়াও কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি।


এই ঘরোয়া উপায়গুলির মধ্যে কাজের ফাঁকে ফাঁকে শরীরকে টানটান করা খুবই জরুরি। চেয়ার ছেড়ে উঠে দুটো হাত মাথার ওপরের দিকে লম্বা করে পিঠ থেকে কোমর যতটা সম্ভব শরীরের পেছনের দিকে বাঁকান।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে, যা নার্ভের কাজে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আদা রাখলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।


অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।


কোমরের ব্যথায় নীলগিরি বা ইউক্যালিপটাস তেল খুবই উপকারী। অল্প পরিমাণ জল গরম করে তাতে ৩ ভাগের ১ ভাগ নীলগিরি তেল দিয়ে গরম করে কোমরে মালিশ করুন। নিয়মিত এর ব্যবহারে উপকার পাবেন।


নীলগিরি তেল না থাকলে কাজে লাগানো যায় চিরাচরিত সর্ষের তেলও। সর্ষের তেলের মধ্যে কয়েক কোয়া রসুন থেঁতো করে ফুটিয়ে নিয়ে সেই তেল হালকা গরম থাকা অবস্থায় কোমরে মাখুন।


আধ কাপ নারকেল তেলের মধ্যে একটি কর্পূর ফেলে দিয়ে সেই তেল গরম করুন। অল্প ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সেই মিশ্রণ কোমরে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন।


তেল মাখার সময় একবার সোজা দিকে এবং আরেকবার বিপরীতদিকে আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।


কোমরে ব্যথা হলে একটানা শুয়ে থাকবেন না। চলাচল করুন। না হলে, ব্যথার স্থান শক্ত হয়ে গিয়ে ব্যথা জমে যেতে পারে।


নিয়মিত নরম কাপড় গরম করে, অথবা হট ব্যাগ বা বোতলে গরম জল নিয়ে কোমরে সেঁক দিলে ব্যথা থেকে আরাম পাবেন।


যাঁদের কোমরে ব্যথা থাকা সত্ত্বেও হিল জুতো পরা বাধ্যতামূলক, তাঁরা তুলনামূলকভাবে কম উচ্চতার হিল পরুন ও মাঝে মাঝে জুতো খুলে বসে পা এবং কোমরকে বিশ্রাম দিন।  


হলুদ আমাদের শরীরের ব্যথা বেদনা কমায়। তাই প্রত্যেকদিন এক কাপ দুধে অল্প হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে কোমরের ব্যথা কমে যেতে পারে।


তবে, এই ঘরোয়া উপায়গুলি অবলম্বন করার পরেও ব্যথা একনাগাড়ে অনেকদিন ধরে স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.