কবচ'-এর অভাবেই শয়ে শয়ে মৃত্যু! কী ভাবে কাজ করে অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম?
ODD বাংলা ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম প্রথম চালু করে রেল মন্ত্রক। শনিবার ওডিশার বালেশ্বরে পৌঁছে তিনি অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই সিস্টেম না থাকা।অ্যান্টি কলিশন সিস্টেমে থাকে আধুনিক প্রযুক্তির GPS (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) এবং GPRS (জেনারেল প্যাকেট রেডিয়ো সিস্টেম)। ট্রেনের প্রতিটি মুহূর্তের মুভমেন্ট এবং রিয়্যাল টাইম ডেটা পাওয়া যায় এই দুই প্রযুক্তির সাহায্যে। ট্রেন টু ট্রেন এবং ট্রেন টু কন্ট্রোল সেন্টারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। ফলে সংঘর্ষ এড়ানোও সম্ভব।সম্ভাব্য সংঘর্ষ চিহ্নিত হলেই সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম অডিয়ো এবং ভিজুয়্যাল অ্যালার্ট দেওয়া শুরু করে। এর ফলে ট্রেন অপারেটররা সতর্ক হয়ে যান, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।সঠিক সময় ট্রেন অপারেটর সতর্ক না হলে কিংবা পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম নিজে থেকেই ব্রেক কষে সংঘর্ষ রুখে দিতে পারে। শেষ মুহূর্তে এই ব্রেক কাজ করে। মানুষের দ্বারা ভুল হলে তবেই সয়ংক্রিয় ব্রেক কাজ করা শুরু করে।হিউম্যান এরর অর্থাৎ মানুষের দ্বারা ভুল হওয়ার ঝুঁকি কমায় এই অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম। কোনওভাবে ট্রেন অপারেটরের ভুলভ্রান্তি হলে সয়ংক্রিয় সিস্টেম কাজ করা শুরু করে দেয়।রেলের দাবি ছিল, এই প্রযুক্তি দুর্ঘটনাশূন্য রেল পরিষেবার জন্ম দেবে। এর ফলে দুর্ঘটনার হার হবে ১০ বছরে মাত্র এক বার। করমণ্ডল এক্সপ্রেস কিংবা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে ‘কবচ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। যদি এই প্রযুক্তি থাকত, তা হলে হয়তো বিপদ এড়ানো যেত। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment