কলা পাইলসকে গোড়া থেকে দূর করে, জেনে নিন কখন কতগুলো কলা খেলে মিলবে উপকার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কারও যদি হজমের সমস্যা হয়, তাহলে সেটা তার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে যে কারও জন্য পাইলস খুব খারাপ একটি সমস্যা। খাবারে ফাইবার ও জলের অভাব হলে পাইলসের বেশিরভাগ সমস্যা শুরু হয়। এর কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এবং এই রোগ ক্রমবর্ধমান পাইলসের রূপ নেয়। অনেক ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের চিকিৎসা করে থাকেন। এই রোগের থেকে রক্ষা পেতে তাই কলা খাওয়াই সবচেয়ে উপকারী বিকল্প হিসেবে মনে করা হয়।


টাটকা ফল এবং শাকসবজি হজমের সমস্যা প্রতিরোধের জন্য সেরা বলে মনে করা হয়। এগুলো খেলে পরিপাকতন্ত্র ও মেটাবলিজম ভালো থাকে। পাকস্থলীতে খাবার হজম না হওয়ার কারণেও হেমোরয়েড হতে পারে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা এমন একটি ফল হিসেবে পরিচিত যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পাইলস শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে যদি পাইলসের চিকিৎসা করতেই হয়, তাহলে কলা কখন কটা খাবেন তা জানা জরুরি।


পাইলস রোগে কলা কিভাবে কাজে লাগাবেন?


কারও যদি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, তাহলে তার কারণে তার মলদ্বার ও মলদ্বারের শিরা ফুলে যায়, যার কারণে পাইলস হয়। এমনটা হলে সেই ব্যক্তিকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। পাইলস মোকাবেলায় ঘরোয়া প্রতিকার এবং চিকিৎসা উভয়ই উপলব্ধ। তবে, আপনি যদি আপনার খাদ্য সঠিকভাবে বজায় রাখেন তবে এই সমস্যাটি মোকাবেলা করা যেতে পারে।


শরীরে জল ও ফাইবারের পরিমাণ থাকা খুবই জরুরি। এই কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবেলায় কলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফল। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক জোলাপ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যদি কেউ পাইলসের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে কলা খেতে পারেন। এতে তার পেটে আরাম হবে এবং মলত্যাগ করা সহজ হবে। এই সময় আপনাকে ব্যথার সম্মুখীন হতে হবে না।


কলার ভেতরেও অনেক অ্যান্টিবায়োটিক গুণ রয়েছে, যা পাইলসের কারণে আক্রান্ত স্থানে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কাজ করে। পাইলস মোকাবেলায় সব সময় পাকা কলা খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমানোর আগে দুটি কলা খাওয়া এবং তারপর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াই পাইলস মোকাবেলার সঠিক উপায়। এর পাশাপাশি প্রচুর জল পান করাও প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.