কনসিলার কেনার আগে ভাবতে হবে



 ODD বাংলা ডেস্ক: আপনার ত্বকে কোনো দাগ ঢাকতে হলে কনসিলারের জুড়ি নেই। মুখের যেকোনো ছোপ বা দাগ দূর করতে সাহায্য করে এটি।


তবে কনসিলার কেনার সময় অবশ্যই ভাবতে হবে। কারণ সৌন্দর্য পণ্যের রকমভেদ রয়েছে। অনেকেরই ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্য রয়েছে আবার ত্বকের চরিত্রও রয়েছে। তাই ব্র্যান্ডই সবসময় আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল বা লুক এনে দিতে পারে না।


যারা মূলত চোখের নিচে, চিবুকে, নাকের পাশে রঙের পার্থক্য লুকোতে চান তারা কারেক্টিং কনসিলার কিনবেন এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার সঠিক ধারণা থাকা জরুরি। অর্থাৎ 'কালার হুইল' এ জোড় দিবেন।


কনসিলার কেনার আগে


একেকটি কনসিলারের একেক ধরনের কাজ থাকে। আপনি বাজারে গেলে দেখবেন ক্রিম, স্টিক বা পেনসিল আকারে কনসিলার পাওয়া যায়। এগুলো আপনার ব্যবহারের সুবিধার জন্য বানানো এমনটি নয়। বরং এদের ব্যবহার আলাদা। পেনসিল কনসিলার মূলত ব্রণের দাগ বা খুব সূক্ষ্ম ডটের মতো দাগ সরাতে কাজ করে। এভাবে অতিরিক্ত কনসিলার ব্যবহার আপনাকে করতে হয় না। কিন্তু চোখের নিচে তো আর পেন্সিলের খোঁচা দেয়া যায় না। তাই হালকা ঘনত্বের ক্রিম কনসিলার নেয়া ভালো।


আপনি কনসিলার কেনার আগে অবশ্যই বড় কোনো বিউটিশপে যাবেন। অথবা এমন দোকানে যাবেন যেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা আছে। স্কিনটোন থেকে হালকা এক শেড হালকা কনসিলার সবচেয়ে ভালো। এমনকি চোখের নিচে যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে ত্বকের চেয়ে দুই শেড হালকা কনসিলার বেছে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। ব্রণ ঢাকার জন্য সবুজ কনসিলার সবসময় ভালো। কিন্তু মনে রাখবেন, কনসিলারের টেক্সচার সবসময় প্রাধান্য পাবে।


আজকাল বাজারে অনেক টেক্সচারের কনসিলার পাওয়া যায়। যারা এখনো কনসিলারের সঙ্গে পরিচিত হন নি তাদের জন্য স্টিক কনসিলার নেয়াই ভালো। কারণ এটা তাড়াহুড়ায় ব্যবহার করতে গেলে ঝামেলা পোহাতে হয় না। যদি আপনি সহজে ব্লেন্ড করতে চান তাহলে ক্রিম নিবেন। লিকুইড কনসিলার মূলত মেকাপ লুকে দাগ ব্লেন্ড ভালোভাবে করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে কনসিলারের টেক্সচার কম ঘনত্বের হলেই ত্বকের জন্য ভালো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.