বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঝগড়ার পর কী করা উচিত

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বন্ধু ছাড়া জীবনটা ভীষণ পানসে। অনেক কথা বাবা-মা কিংবা জীবনসঙ্গীকে বলা যায় না, কিন্তু অনুভূতিগুলো বন্ধুর সঙ্গে ভাগাভাগি করা যায় সহজেই। জীবনকে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে যেসব সম্পর্ক, তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব অন্যতম।

মন কষাকষি যতটা, ততটাই আবার মনের সব সিক্রেট কথা বলে ফেলতে চাওয়া বন্ধুকেই সম্ভবত ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলা হয়! কোনো নির্দিষ্ট ব্যাখ্যায় এই বেস্ট ফ্রেন্ড শব্দটিকে ধরা সম্ভব নয়। তবে বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে মন কষাকষি থাকলে তা নিমেষে ফেলুন মিটিয়ে।


স্যরি বলতে শেখা


জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সরি বলতে শেখাটা খুবই জরুরি। আর নিজের সবচেয়ে কাছে মানুষকে ‘স্যরি’ বলতে বা ‘ভুল হয়ে গেছে; বলতে সমস্যা নেই! মনের যাবতীয় অহংকার যার সামনে দূরে রাখা যায়, সেই তো বেস্ট ফ্রেন্ড! তাই ঝগড়া হলেও আগে স্যরি বলে নিয়ে মানভঞ্জন জরুরি।


ভালো মুহূর্তের কথা মনে করান


ঝগড়া থামানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল পুরোনো কিছু ভালো মুহূর্তের কথা স্মরণ করানো। আর তার জেরেই ফের পুরোনো আনন্দ ফিরে আসে। তাই বন্ধুর রাগ ভাঙাতে গেলে, দুপুরবেলায় কুলের আচার, কিংবা বিকেলে আইসক্রিম নিয়ে যেতেই পারেন! তাতে গলে যেতে পারে মান অভিমানের বরফ!


পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ফেলুন


বেস্ট ফ্রেন্ডকে বোঝান, তার বিষয়ে আপনি কতটা যত্নশীল। কতটা ভাবেন তার কথা, তার ভালো মন্দ, আপনার কাছে কতটা জরুরি। তিনি যেন আজকের দিনে আপনার চোখে ‘স্পেশাল ব্যক্তিত্ব’ হয়ে ওঠেন, সেই বিষয়টি তার মধ্যেও জাগিয়ে তুলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন খোলাখুলি কথা। যা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে, তা নিয়েও খোলাখুলি কথা বলুন। মন দুজনেরই হালকা হবে!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.