কিডনি নাকি গলব্লাডার স্টোন, উভয় রোগের লক্ষণই একই, স্টোন কোথায় তা কিভাবে বুঝবেন



 ODD বাংলা ডেস্ক:  কিডনি স্টোন এবং গলব্লাডার স্টোন এর লক্ষণ একই। তাই এই লক্ষণগুলো থেকে কিডনিতে পাথর নাকি পিত্তথলির পাথরের তা আগে থেকে জানা বেশ কঠিন। উভয় রোগেই পেটে ব্যথা, বমি, বমি বমি ভাব এবং জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই দুটি সমস্যাই শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। গলব্লাডারের পাথরের ব্যথা পেটের ডান উপরের অংশে অনুভূত হয়। অথচ কিডনিতে পাথরের ব্যথা পেটের দুই পাশে অনুভূত হতে পারে। উভয় সমস্যার ক্ষেত্রেই শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা কিডনিতে পাথরের নাকি পিত্তথলির পাথরের তা খুঁজে বের করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


আসলে, পিত্তথলির পাথর কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি। অথচ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম লবণ দিয়ে তৈরি। শরীর যখন পিত্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল তৈরি করে তখন তা পিত্তথলিতে অর্থাৎ গল ব্লাডারে জমা হয়ে পাথরের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, কিডনিতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমা করলে ধীরে ধীরে পাথর হতে শুরু করে। কিডনিতে পাথরের সমস্যা সাধারণত গলব্লাডারের পাথরের চেয়ে বেশি হয়।


কিডনি স্টোন এবং গলব্লাডার স্টোন এর ক্ষেত্রে কিছু জিনিস একই রকম। এই দুটি সমস্যাই ঘটে যখন শরীরে অতিরিক্ত কিছু তৈরি হয়, যা অবিলম্বে অপসারণ করা প্রয়োজন। এই দুটি রোগেই পেটে ব্যথা এবং বমি হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, যদি সময় মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এগুলোর কারণে শরীরে আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন শরীরের কোনও অঙ্গে সংক্রমণ বা ব্লক হয়ে যাওয়া।


গলব্লাডারে পাথরের লক্ষণ-


১) পেটের উপরের ডানদিকে প্রচণ্ড ব্যথা


২) কাঁধে তীব্র ব্যথা


৩) বমি বা বমি বমি ভাব


৪) বদহজম


৫) গ্যাসের সমস্যা


কিডনি পাথরের লক্ষণ-


১) পিঠে ব্যথা যা কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়ে


২) বমি বা বমি বমি ভাব


৩) জ্বর


৪) প্রস্রাবে রক্ত


​​৫) লালছে প্রস্রাব


ঘরে বসে কীভাবে প্রতিকার করবেন


বিশেষজ্ঞদের মতে, পিত্তথলির সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, স্বাস্থ্যকর ওজন, চর্বিমুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা। চিকিত্সকরা সাধারণত প্রাথমিক পিত্তথলির পাথরের জন্য ওষুধ লিখে থাকেন, তবে অবস্থার অবনতি হলে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির পরামর্শ দেওয়া হয়। কিডনিতে পাথর হলে বেশি করে জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি যদি বেশি লবণ খান তবে আপনার প্রতিদিন ৪ লিটার জল পান করা উচিত। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট একটি পাথর একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন অবলম্বন করে অপসারণ করা যেতে পারে, তবে পাথরটি ৫ মিলিমিটারের চেয়ে বড় হলেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.