এই সব পরিচিত মশলার গুণেই সুস্থ থাকবে কোলোন! কাছে ঘেঁষতে পারবে না গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মোমো, পিৎজা, চাউমিন ছাড়া যেন দিন চলে না! আর সেই কারণে পেটের সমস্যায় ভুক্তভোগী বাঙালির সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। তাই তো অধিকাংশ বাড়িতেই মজুত থাকে গ্যাসের ওষুধ। কিছু হল কিনা মুখে পুরে দিলেই হল। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম থেকে মেলে সহজে মুক্তি। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, নিয়মিত এই ধরনের ওষুধ খাওয়া কিন্তু একবারেই ভালো অভ্যাস নয়। কারণ এই ধরনের ওষুধ নিয়মিত খেলে একাধিক সমস্যা পিছু নিতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা পেটের সমস্যার সমাধানে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। তাই এবার থেকে টপাটপ ওষুধ না খেয়ে বরং অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখুন। এর মাধ্যমেই পেটের একাধিক সমস্যার থেকে মিলবে মুক্তি।


তবে মুশকিল হল, কোলোন বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ফেরানোর জন্য যা যা কাজ করা দরকার, তার একটিও আমরা করি না। ফলে একাধিক জটিল অসুখ পিছু নেয়। তবে এই নিয়ে অত্যধিক চিন্তা করে ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে লাভ নেই, বরং হাতের কাছে উপস্থিত কয়েকটি মশলা খাওয়া শুরু করলেই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে কোলোনের স্বাস্থ্যের হাল ফেরানো সম্ভব। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, আসুন সেই কয়েকটি মশলা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


​ধনের হস্তক্ষেপেই সমস্যা মিটবে​

​ধনে অত্যন্ত উপকারী একটি মশলা। এই মশলায় রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। বিশেষত, পেটের সমস্যা মেটানোর কাজে অত্যন্ত কার্যকরী ধনে। তাই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমাতে চাইলে এই মশলা নিয়মিত খান। এছাড়া অন্ত্রে উপস্থিত গ্যাসকে দেহের বাইরে বের করে দেওয়ার কাজটিও নিপুণভাবে করে ধনে। তাই এইসব উপকার পেতে রান্নায় এই মশলার ব্যবহার বাড়াতে হবে।


মৌরি খেলেই ‘কোলোন হ্যাপি’​

মৌরিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি নানা উপাদান। এই সকল উপাদান কিন্তু বাওয়েল ডিজিজ থেকে মুক্তি দিতে পারে। অর্থাৎ পেট পরিষ্কার না হলে মৌরি খেলেই কাজ হবে। এতে উপস্থিত ফাইবার ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান গাট ফাংশন বা সহজে বললে কোলোনের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে সহজেই কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়। এছাড়া এই মশলা নিয়মিত খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত কমে। তাই পেট পুরে খাওয়ার পর এক চামচ মৌরি খেতে ভুলবেন না যেন!


 আদা খেলেই কমবে অ্যাসিডিটি

পেটের সমস্যার কথা উঠলে আদার নাম আসবেই। এই মশলার রয়েছে একাধিক গুণ। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। ফলে পেটের রোগ প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে উপস্থিত বিভিন্ন উপকারী উপাদান গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার মতো জটিল থেকে জটিলতর সমস্যাকে সহজেই দূর করে দিতে পারে। এছাড়া বমি বমি ভাব বা বমির মতো সমস্য়াতেও আদা অত্যন্ত কার্যকরী। গ্য়াস-অম্বলের মতো সমস্য়ায় ভুগলে নিয়মিত আদা খেতে খান। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।


হলুদ খেলেই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ফিরবে​

হলুদের রয়েছে ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্ষমতা। তাই হলুদ খেলে পেটের একাধিক সংক্রামক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া এতে উপস্থিত কিছু উপাদানের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। সেই কারণে হলুদ খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত হলুদ খেতে ভুলবেন না যেন।


 জিরেতেই পেটের সমস্যার ছুটি​

গ্যাস ও অ্যাসিডিটিতে ভুক্তোভোগী বাঙালির কাছে জিরে হতে পারে এক মহৌষধি। এই মশলায় এমন কিছু উপকারী উপাদান উপস্থিত রয়েছে যা কোলোনকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আর অন্ত্রের স্বাস্থ্য ফেরার সুবাদে বিভিন্ন পেটের অসুখ দূরে দূরে থাকে। তাই এক গ্লাস জলে এক চামচ জিরে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে উঠে জল ছেঁকে পান করুন। এতেই বিভিন্ন পেটের অসুখ হবে পগার পাড়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.