এই ৩ কাজ করলে ভূত-প্রেত ভর করবে আপনার ওপর! ভুলেও করবেন না



 ODD বাংলা ডেস্ক: জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু নিয়মের উল্লেখ পাওয়া যায়, যার পালন না-করলে ব্যক্তি ভূত-প্রেত দেখতে পায়! শুনে অবাক হলেও শাস্ত্র এমনটাই দাবি করছে। অনেকে ভূত-প্রেতের কাহিনি শুনেছেন। অধিকাংশ ব্যক্তির ধারণা ভূত-প্রেতের কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু কেউ কেউ এমনও আছেন যাঁরা আত্মা, ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করেন। শাস্ত্র মতে সকলে নয়, তবে কিছু কিছু ব্যক্তি ভূত দেখতে পান। নিজের কিছু ভুল কাজের জন্যই এমন আতঙ্ক ও কষ্ট ভোগ করতে হয় তাঁদের। কোন নিয়ম না-মানলে ব্যক্তি ভূত দেখতে পারেন, জেনে নিন এখানে।


নেতিবাচক চিন্তাভাবনা


জ্যোতিষ অনুযায়ী যে ব্যক্তি নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করেন তাঁদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। যাঁরা এমন চিন্তাভাবনা করেন, তাঁদের অশুভ শক্তির দ্বারা ঘিরে থাকেন। অশুভ শক্তিকে আকৃষ্ট করতে পারেন এঁরা। আবার অত্যন্ত ভয়ানক অনুভূতি থাকে এই ব্যক্তির মনে। তাই ভূত-প্রেত এঁদের তাড়া করে। এর বিপরীতে যাঁরা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করেন এবং ঈশ্বরে বিশ্বাসী তাঁদের সঙ্গে ঘটনা ঘটে না।


প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী নেতিবাচক শক্তি সমস্ত স্থানে বাস করে না। নির্জন স্থানে গাছে ভূত-প্রেতের বাস। এই গাছেরতলায় কোনও ব্যক্তি শৌচকার্য করলে প্রেতত্মারা তাঁদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই এমন কাজ ভুলেও করবেন না।


শ্মশানে আঁতর লাগিয়ে যাবেন না


ব্যক্তি কিছু কিছু নিয়মের পালন করেন না। যার ফলে তাঁদের জীবনে অশুভ ঘটনা ঘটে থাকে। অনেকে আঁতর লাগিয়ে শ্মশানে যান। শাস্ত্র মতে আঁতর অশুভ শক্তি আকৃষ্ট করতে পারে। দুর্বল মানসিকতার ব্যক্তিরা আঁতর লাগালে দুষ্ট শক্তি তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। আঁতরের পরিবর্তে পারফিউম ব্যবহার করতে পারেন।


রাতে মিষ্টি খেয়ে বেরোবেন না


প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভূত-প্রেতকে মিষ্টি আকৃষ্ট করে। তাই নির্জন রাতে মিষ্টি খেয়ে বেরোলে নেতিবাচক শক্তি আপনার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যে ব্যক্তি রাতে মিষ্টি খেয়ে বের হয়, তাঁরা বাড়ি ফিরলে কোনও না-কোনও সমস্যা নিয়ে ফেরে। তাই মিষ্টি খেয়ে বাইরে বেরোতে হলে সামান্য নোনতা খাবার খেয়ে বেরোবেন।


শাস্ত্র মতে যে ব্যক্তি এই সহজ-সরল নিয়মগুলি মানেন না, তাঁরা প্রেতাত্মা, অশুভ শক্তির দ্বারা আকৃষ্ট হতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.