যেভাবে নেবেন কোঁকড়া চুলের যত্ন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কোঁকড়া চুল নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভোগেন। এ ধরনের চুলে প্রায়ই আগা ফাটা, শুষ্ক ও শক্ত হয়ে যাওয়া, নিয়মিত চুলে জট পড়া ইত্যাদি দেখা যায়। অনেক সময় বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেও এসব সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই নিতে পারেন কোঁকড়া চুলের যত্ন।



কীভাবে নেবেন কোঁকড়া চুলের যত্ন

 

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার :  প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসিডিক গুণাগুণ থাকার কারণে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার চুলের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ব্যবহারে চুল শক্ত ও মজবুত হয়।


করণীয় :  সমান পরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং জল নিন । মিশ্রণ দুটি একসঙ্গে মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট চুলে রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু করুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি মাসে ১-২ দিন লাগাতে পারবেন।


ডিম : ডিমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন ও বায়োটিন যা চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে।


করণীয় :  একটি ডিম ফাটিয়ে তাতে ১ টবিল চামচ মেয়োনিজ ও ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ১ বার লাগাবেন।


অ্যালোভেরা : এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে । এর ফলে মাথার ত্বকে জ্বালাপোড়া, চুল পড়া কমে।  অ্যালোভেরা চুলের উকুন ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।


করণীয় :  একটি তাজা অ্যালোভেরা মাঝ থেকে কেটে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০মিনিট রেখে দিন। এরপর চুল কুসুম গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ দিন লাগাতে পারেন।


গরম তেলের ম্যাসাজ : গরম তেলের ম্যাসেজ চুলের তালুর রক্ত সঞ্চালণ বৃদ্ধি করে, চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।


করণীয় :  পছন্দের যেকোনো তেল নিয়ে ২-৪ মিনিট গরম কারুন। আপনার মাথার ত্বকসহ চুলের আগা পর্যন্ত সহনীয় তাপমাত্রায় তেল লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ পরে টাওয়াল পেঁচিয়ে ১-২ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।


জবা :  জবা সাধারণত চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকে থাকা দূষিত পদার্থ, ঘা ও খুশকি দূর করে এবং চুল পরা নিয়ন্ত্রণ করে। এর সাথে মধু যোগ করলে চুলকে মসৃণ করে তোলে।


করণীয় : কয়েকটি জবা ফুল ও পাতা নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর পুরো চুলে মেখে ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। পরেরদিন শ্যাম্পু করে ফেলুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.