দরজায় ধাক্কা-লাথি দিলে রাগ কমে যায় কেন?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দরজা বন্ধ করলে রাগ কমে যাওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। দরজা থেকে আসা শব্দ মনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর থেকে অপরাধবোধ তৈরি হয়, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সম্ভবত আপনার দ্বারাও একটি সামান্য ভুল হয়ে যেতে পারে। সাধারণত, কিশোরদের মধ্যে রাগ করে দরজা লাগানোর প্রবণতা বেশি।


রাগ হয়েছে আর কখনো দরজায় জোরে ধাক্কা দেননি— এমনটা খুব কমজনের জীবনেই ঘটেছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ক্রোধের সম্মুখীন হওয়া আসবাব হলো ঘরের দরজা। খেয়াল করলে দেখবেন, বেশিরভাগ মানুষই রেগে গেলে জোরে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাগ প্রকাশ করে, আবার অনেকে লাথিও মারেন। মজার ব্যাপার হলো, এই কাজটি করার কিছুক্ষণ পর রাগ কমতেও শুরু করে।


কখনো কি ভেবেছেন এই কাজটি কেন করে মানুষ? জানলে অবাক হবেন এর পেছনে কাজ করে মনোবিজ্ঞান। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-


রাগ হলে দরজায় জোরে আঘাত করার বিষয়টিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ডোরওয়ে ইফেক্ট’। বিজ্ঞানের মতে, এটি এক ধরনের রাগের বহিঃপ্রকাশ এবং এটি রাগ কমায়। রাগ কমার পেছনে বলা হয়, আমরা যখন এক দরজা থেকে অন্য দরজায় গিয়ে পৌঁছাই তখন রাগের কারণটি দুর্বল হতে শুরু করে এবং এটি রাগের উপরেও প্রভাব ফেলে।


অর্থাৎ যখনই একজন মানুষ ঘরের ভেতর পেরিয়ে দরজার কাছে পৌঁছে যায়, তখন পুরনো জিনিসটি ভুলে যান। খুব অল্প সময়ের জন্য এটি ঘটে। কিন্তু রাগ কমার জন্য এই সময়ই যথেষ্ট।


২০০৬ সালে গ্যাব্রিয়েল এ. রাডভেনেস্কি প্রাথমিকভাবে ডোরওয়ে এফেক্ট নিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। যেখানে প্রথমে ৩০০ জনের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা যায়, যখন মানুষ দরজা পেরিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে আসে তখন আগের ঘরের স্মৃতি কিছুটা সময়ের জন্য ঝাপসা হয়ে যায়। আসলে, রাগ একই থাকে, কেবল জায়গা পরিবর্তন করার কারণে তা হালকা হয়ে যায়। এই কারণেই বিষণ্ণতার রোগীদের প্রায়ই ঘুরে বেড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.