গরমের অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। এত গরমে সুস্থ থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। গরমের এই অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে সহজ কিছু বিষয় মেনে চলুন।
কী করবেন-
১. সুস্থ থাকতে উপকারী পানীয়কে হাতিয়ার করুন। নিয়ম করে ডাবের জল, দই দিয়ে তৈরি ঘোল, লেবুর শরববত পান করুন। তাহলে শরীরে জলের ঘাটতি হবে না।
২. গরমে ঠান্ডা পানীয় স্বস্তি দেয় ঠিকই। কিন্তু, বার বার ঠান্ডা পানীয় পান করা ঠিক নয়। এই সময় ঠান্ডা জল পান করতে হলে তার সঙ্গে এমনি জল মিশিয়ে নিন। একেবারে ঠান্ডা পানীয় স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. এই গরমে ভাজাভুজি খাওয়া একেবারে বন্ধ করাই ভালো। এই সময় ভাজাভুজি খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। এটি যতই মুখরোচক হোক না কেন তা স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি করে।
৪. এই গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে মিষ্টি পানীয় একেবারেই খাবেন না। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে কোমল পানীয়, চিনিযুক্ত কোমল পানীয় বা জুস পান করেন । কিন্তু, এর থেকে শরীরে দেখা দেয় জটিলতা। এসব পানীয়ে সাময়িকভাবে আপনার শক্তি বাড়াবে ঠিকই কিন্তু এর থেকেই হয় নানা শারীরিক জটিলতা।
৫. কড়া রোদেও অনেককে কাজে বের হতে হচ্ছে। এই সময় অনেকে স্বস্তি পেতে ঠান্ডা জল পান করছেন। আবার রোদ থেকে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা জল পান করছেন। এতে সাময়িক স্বস্তি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এর কারণে গলা ব্যথা, হজমের সমস্যার মতো জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এই গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে ঠান্ডা জল খাওয়া কমাতে হবে।
৬. অত্যাধিক ক্যাফেইন পান গরমে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। এই সময় বার বার চা বা কফি পানে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। এর কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। জলশূন্যতা অনুভব করতে পারেন।
৭. গরমের সময় ওজন কমাতে গিয়ে কিংবা ক্র্যাশ ডায়েট করেন অনেকে। কারও কারও আবার খাদ্যে অরুচিও হয়। এ কারণে অনেকের পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। এর থেকে অলসতা, মাথাব্যথা, বমি ভাব হয়। এ কারণে সুস্থ থাকতে চাইলে পরিমাণমতো খাবার খান।
৮. রোজ অন্তত ৮ গ্লাস করে জল পান করুন। এই সময় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করা প্রয়োজন। তাহলে উপকার মিলবে।
৯. এই সময় ভুলেও কাটা ফল খাবেন না। কাটা ফল নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। এর থেকে পেট খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
১০. এত তাপপ্রবাহের মধ্যে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment