আপনি কি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে বিয়ের পাত্র-পাত্রী খুঁজছেন? তাহলে এই ৫টি মিথ্যা থেকে সাবধান

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কোন কোন বিষয়ে মিথ্যা থাকতে পারে?

সময়ের সাথে সাথে মানুষের বিয়ের পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে যেখানে মানুষ শুধু পরিচিত মানুষের দ্বারা অথবা ঘটকের মাধ্যমে পাত্রপাত্রী খোঁজার চল ছিল, সেখানে এখন থাবা বসিয়েছে ডিজিটাল দুনিয়া। অনলাইনে পাত্র-পাত্রী খোঁজা হচ্ছে। এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলিকে ‘ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট’ বলা হয়।কিন্তু এই সাইটগুলিতেও অনেক জালিয়াতি রয়েছে। না জেনে ভুল করলে সারা জীবনটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


গায়ের রঙ সম্পর্কে মিথ্যা

আমাদের সমাজে মানুষের, বিশেষ করে পাত্রপাত্রীদের গায়ের রঙ একটা বড় সমস্যা। এই সমস্যার চোটে বিয়ে দিনেও অনেকের বিয়ে ভেঙ্গে যেতে দেখা যায়। এরূপ পরিস্থিতি এড়াতে প্রথমেই গায়ের রং সম্পর্কে সত্য তথ্য দিয়ে রাখা ভালো।


বয়স ভুলভাবে উপস্থাপন করা

বয়স বেড়ে গেলে বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। তাই অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নেন বয়স আড়াল করার জন্য। মনে রাখতে হবে, শরীর সবসময় সেভাবেই আপনার সঙ্গ দেবে, যেভাবে আপনার বয়স এগোচ্ছে। তাই বয়স কমিয়ে বললেও বয়সজনিত সমস্যা আপনি বেশিদিন লুকিয়ে রাখতে পারবেন না।


পেশা সম্পর্কে অসত্য বলা

ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের এরকম অনেক ঘটনা ঘটে, যেখানে ছেলেরা প্রায়শই মেয়েদের নজর আকর্ষণ করার জন্য নিজেদের পেশা নিয়ে বাড়িয়ে বাড়িয়ে লেখেন। অনেক সময় এই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে পাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে বেশি যৌতুক আদায়ের চেষ্টাও করা হয়। বিয়ের জন্য পাকা কথা বলার আগে সরকারি কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।


পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য

প্রত্যেক মানুষই একটি সম্ভ্রান্ত ও সমৃদ্ধ পরিবারের সাথে মেলামেশা করতে চান, যাতে সমাজে সম্মান বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে, অনেক মানুষ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডকে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে খুব উঁচু করে দেখান। অনেক নিরীহ পাত্রপাত্রীই ভবিষ্যৎ ভালো হওয়ার আশায় ভরসা করে বিয়ে করার পর ফাঁদে পড়ার কথা বুঝতে পারেন। তাই বিয়ের আগেই পরিবার সম্পর্কে সঠিক তদন্ত করা প্রয়োজন ।


অতীত সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যা

বৈবাহিক ওয়েবসাইটগুলিতে নিখুঁত জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। কারণ, অনেকেই নিজের প্রেম অথবা প্রাক্তন প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি মিথ্যে বলে থাকেন। এমনকি অনেক মানুষ তাঁদের প্রথম বিয়ের বিষয়টি গোপন করে গিয়েও দ্বিতীয় বিয়ে করতে উদ্যত হন। এই বিষয়ে পাত্র বা পাত্রীর ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। অন্যান্য সোশ্যাল সাইটেও নাম, ছবি অথবা, পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে নিতে পারেন। এছাড়াও, ব্যক্তিগতভাবে নিজে উপস্থিত হয়ে তার বাড়ির আশেপাশের মানুষদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.