যে কৌশলে স্বামী-স্ত্রীর সংসার সুখের হয়



 ODD বাংলা ডেস্ক: সংসার করলে একে অপরের সঙ্গে কিছু বিষয়ে ঠোকাঠুকি লাগতেই পারে। এতে আশ্চর্য হওয়ার বা ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। বরং দাম্পত্যের নদীতে জোয়ার-ভাটা না হলেই তা চিন্তার বিষয়। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে নদীর গতিপ্রবাহে কোথাও বাধা তৈরি হচ্ছে।


তবে এই চিত্রের অপর একটা দিকও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, একসঙ্গে থাকতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি রোজ রোজ ঝামেলা-অশান্তি হয়, তাহলে কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ এটা কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিছু ক্ষেত্রে এমন সাংসারিক কলহের পিছনে পুরুষেরাই কলকাঠি নাড়েন। তাঁরা কথায় কথায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতে উদ্যত হন। আর সেই কারণেই দাম্পত্যের ভিত নড়ে যায়।


এই কৌশলেই কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সুখে সংসার করতে পারবেন।


​১. ভুল-ত্রুটির খোঁজ করাটাই প্রথম দায়িত্ব​


আপনার ভুল-ঠিক কোথায় হচ্ছে, তা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। সেক্ষেত্রে একান্ত নিভৃতে নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। ভাবার চেষ্টা করুন যে কেন আপনি অহেতুক স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন। এই কাজটি করার সময় আপনার মনে যে কারণগুলি ভেসে উঠবে তা এক জায়গায় লিখে রাখুন। এরপরই আপনার কাছে সব ছবি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারপর সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এতেই দেখবেন আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


২. ‘ট্রিগার’ বুঝে ব্যবস্থা নিন​


রাগের কিছু কিছু ট্রিগার থাকে। অর্থাৎ যেই বিষয়গুলি দেখলে বা শুনলে আপনার খুব মাথা গরম হয়ে যায়। যেমন ধরুন, আপনি কাজ থেকে ফেরার পর স্ত্রী দোকানে যেতে বললেই আপনার মেজাজ সপ্তমে ওঠে। এই সময়ই আপনি চিৎকার শুরু করেন। তাহলে ধরে নিতে হবে এটাই হল আপনার ট্রিগার। এরপর থেকে ব্রেনকে এমনভাবে ‘ট্রেন’ করুন যাতে সে এই ট্রিগারগুলিতে বেশি রিয়্যাক্ট না করতে পারে। তাহলেই দেখবেন সমস্যা হচ্ছে না। আপনার দাম্পত্য জীবন খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।


৩. সমাধান খুঁজতে হবে​

সবসময় যে ঝামেলার পিছনে আপনারই দোষ থাকবে, এমন নয়। বরং বহু ক্ষেত্রে স্ত্রীর ভুলভাল কিছু কথা বা ব্যবহার বুকে শেলের মতো বিঁধতে পারে। তখন আর মুখ বন্ধ রাখা যায় না। আপনা থেকেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে কিছু খারাপ ভাষা। আর তার থেকেই দাম্পত্যে দূরত্ব জন্ম নেয়। এক্ষেত্রে একটা টিপস মেনে চলুন, স্ত্রীর কোনও বিষয় পছন্দ না হলে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে লাভ নেই। বরং তাঁকে বোঝাতে হবে। তাঁর ভুলগুলি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। দেখবেন একটা না একটা সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবেই।


৪. শান্ত থাকতে শিখুন​

যে কোনও জটিল সময়ে মনকে শান্ত রাখতে জানতে হবে। আর এই কাজটায় যাঁরা সিদ্ধহস্ত তাঁদের কোনও কিছুতেই হার মানানো যায় না। জীবনের সকল জায়গাতেই তাঁরা জয়ী। তাই নিজেকে শান্ত রাখার ‘টেকনিক’ যত দ্রুত সম্ভব আয়ত্ত্ব করে নিন। এক্ষেত্রে প্রাণায়াম ও মাইন্ডফুলনেসের মতো শ্বাসের ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস করুন। প্রথমদিকে মনোসংযোগ করতে একটু সমস্যা হলেও, ধীরে ধীরে আপনি এই কাজটি সহজেই শিখে নিতে পারবেন। তারপর আর স্ত্রীর কথায় চটজলদি মাথা গরম হবে না।


​৫. ভালোবাসাতেই সর্ব সুখ​

ভালোবাসার কোনও বিকল্প নেই। জীবনের সব দুঃখকেই বশ মানিয়ে রাখা যায় ভালোবাসার মাধ্যমে। তাই যেভাবেই হোক একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা বাড়াতে হবে। তাই এবার থেকে যখনই সময় পাবেন, স্ত্রীকে আই লাভ ইউ বলুন। আর সকালে উঠে একটা মর্নিং কিস মাস্ট। এতেই দেখবেন ভালোবাসার নদীতে বান এসেছে। কমেছে ঝামেলা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.