কর্মক্ষেত্রে যেসব আলোচনা ঠিক নয়
ODD বাংলা ডেস্ক: দিনের অনেকটা সময় আমাদের অফিসেই কাটে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প, হাসি তামাশা করা খুবই স্বাভাবিক। এতে কাজের একঘেয়েমিতা কমে। অনেক সময় সহকর্মীর সঙ্গে গল্প গল্প করতে ব্যক্তিগত জীবনের টুকটাক আলোচনাও এসে পড়তে পারে। কিছুটা গসিপ, পরনিন্দা-পরচর্চা বা কিছুটা নিছকই সাংসারিক জীবনের আলোচনা- এসবই হতে পারে আলোচনার বিষয়বস্তু।
কিন্তু অফিসের ফর্মাল আবহে সাংসারিক বা ব্যক্তিগত জীবনের কথা কতটা শেয়ার করা যেতে পারে, সেটা অনেকেই ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। এ কথা ঠিক যে, অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে দিনের একটা দীর্ঘ সময় কাটে। এ কারণে পরিবার ও বন্ধুদের মতোই তাদের গুরুত্বও আমাদের জীবনে অপরিসীম। দীর্ঘসময় একসঙ্গে কাজ করতে করতে ফর্মাল সম্পর্কের মোড়ক ভেঙে বন্ধুত্ব হওয়াটাও স্বাভাবিক। তবে সব সহকর্মীদের সঙ্গে একরকম সম্পর্ক হয় না। কারও সঙ্গে মানসিকভাবে কাছাকাছি হলেই তখন তার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনার ইচ্ছে জাগে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অফিসে সবার সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনা করা মোটেও ঠিক নয়। কেউ আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতেই পারেন। তার সঙ্গে আপনি সাংসারিক বিষয় আলোচনা করতেই পারেন। কিন্তু অযথা লোক দেখিয়ে পারিবারিক সমস্যা, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য এসব বিষয় গণ আলোচনায় না আনাই ভালো। একই কথা ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। স্ত্রীর সঙ্গে সমস্যা বা শ্বশুরবাড়ির কথা সবার সঙ্গে আলাপ না করাই ভালো।
ধরা যাক, আপনি অফিসে বসে ফোনে জোরে জোরে স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করছেন, তাহলে সেটা অফিসের আর পাঁচজনের কাছে হাস্যকর হয়ে উঠবে। মুখের উপর তারা কেউ কিছু না বললেও হয়তো আড়ালে আপনাকে নিয়ে আলোচনা করতেই পারেন। আবার আপনার কোনও প্রিয়জনের দেওয়া গিফট যদি বারবার সকলকে দেখান তাহলে সেটাও অনেকে ভালোভাবে না নিতে পারেন। অফিসে কাজের ফাঁকে বন্ধুবান্ধবরা দেখা করতে আসতেই পারেন। কিন্তু সেটা যদি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়, তাহলে তা পরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। ছেলে বা মেয়ের সাফল্য, আগের রাতে রান্না করা নতুন কোনও খাবার, বেড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয় সহজেই বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। তবে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো শুধুমাত্র কাছের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করাই ভালো।
Post a Comment