বাস্তু মেনে পোষ্য রাখুন, দূর হবে দুঃখ-দারিদ্র্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আজ আমরা আলোচনা করব বাস্তুশাস্ত্রে বাড়িতে পোষ্য রাখা নিয়ে কী পরামর্শ ও উপদেশ দেওয়া হয়েছে। শখ ও ভালোবাসার কারণে আমরা অনেকেই কুকুর, বেড়াল বা খরগোশ পুষে থাকি। আবার অনেকে জীবিকার কারণে গরু, ছাগল, পায়রা, মুরগী, মোষ পালন করেন। কিন্তু আমরা যে সমস্ত পশু পালন করি, সে সবই আমাদের জীবনে নানান শুভ-অশুভ প্রভাব বিস্তার করে। বাস্তু শাস্ত্র মতে এমন কিছু প্রাণী আছে, যাদের পুষলে অশুভ ফলাফল লাভ করতে পারেন। আবার কিছু কিছু পশু-পক্ষী পরিবারে শুভ শক্তি এবং আনন্দের সঞ্চার ঘটায়। জ্যোতিষ অনুযায়ী গ্রহ ও নক্ষত্র অনুযায়ী জাতককে পশু পালন করা উচিত। এর ফলে সেই পশু আপনার পরিবারে আগত সংকট দূর করবে। বাস্তু ও জ্যোতিষ মতে কোন কোন পশু পালন করা শুভ জেনে নিন।


​কুকুর

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কুকুরকে কাল ভৈরবের সেবক মনে করা হয়। বাড়িতে কুকুর পোষ্য হিসেবে রাখা অত্যন্ত শুভ। কুকুর পুষলে কাল ভৈরব পরিবারে আগত সমস্ত বাধা ও সংকট দূর করেন। পরিবারে অর্থের আগমন হয়। এমন পরিবারে সর্বদা লক্ষ্মীর বাস হয়। আবার জ্যোতিষ মতে, কুকুর পুষলে কোনও জাতকের কোষ্ঠিতে উপস্থিত অশুভ গ্রহও শুভ ফলাফল প্রদান করতে শুরু করে। কুকুর পোষা সম্ভব না-হলে প্রতিদিন কুকুরকে একটি করে রুটি খাওয়ান। এর ফলে আর্থিক পরিস্থিতিতে উন্নতি হবে।


​মাছ

ফেংশুই ও বাস্তু উভয় শাস্ত্রেই মাছকে শুভ বলে মনে করা হয়। আবার হিন্দু শাস্ত্রে বিষ্ণুর মৎসাবতারের কারণে মাছের ধর্মীয় গুরুত্ব স্বীকৃত। মনে করা হয়, বাড়িতে মাছ রাখলে দারিদ্র্য দূর হয় ও ইতিবাচক শক্তি ঘরে প্রবেশ করে। পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে মাছের উপস্থিতির কারণে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বাড়িতে মাছ থাকলে, তা পরিবারে আগত যে কোনও সংকটকে আত্মসাৎ করে নেয়। গোল্ড ফিশকে শুভ মনে করা হয়। সোনালী রঙের মাছ বাড়িতে রাখলে কোনও ধরনের সমস্যার আগমন ঘটে না। অ্যাকোয়েরিয়ামে অবশ্যই একটি কালো মাছ রাখবেন। এই মাছ পরিবারকে কুনজর থেকে রক্ষা করবে।


​খরগোশ

দেখতে যেমন সুন্দর ও মিষ্টি, বাস্তু অনুসারে ঠিক ততটাই শুভ খরগোশ। জ্যোতিষ মতে, বাড়িতে খরগোশ রাখলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয় এবং ঘরের শুদ্ধতা বজায় থাকে। খরগোশ ঘরের মধ্যে থাকা নেতিবাচক শক্তি দূর করে ইতিবাচক শক্তির প্রসার ঘটায়। বাস্তুতেও খরগোশকে সুখ, সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। এ ছাড়াও খরগোশ পুষলে বাচ্চারা আনন্দে ও কুনজরের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে। তাই অবশ্যই ঘরে খরগোশ পুষতে পারেন।


​কচ্ছপ

হিন্দু ধর্মে কচ্ছপকে দশাবতারের মধ্যে অন্যতম মনে করা হয়। লক্ষ্মীর প্রতিনিধিত্ব করে কচ্ছপ। বাড়িতে কচ্ছপ পুষলে অসফল হতে থাকা কাজও সাফল্যের মুখ দেখবে। কচ্ছপের প্রভাবে লক্ষ্য লাভেও আপনি সফল হবেন। আবার বাস্তু শাস্ত্রেও কচ্ছপকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে বাড়িতে কচ্ছপ পোষা কোনও কারণে সম্ভব না হলে তামা বা রুপোর কচ্ছপ বাড়িতে রাখতে পারেন। এটিও আপনাকে উপকারী ফল প্রদান করবে। এর ফলে গৃহে বৈভব ও ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পাবে।


​ব্যাঙ

বাস্তু শাস্ত্র ও জ্যোতিষ মতে ব্যাঙকেও শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় বাড়িতে ব্যাঙ পুষলে রোগ ভোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। ব্যাঙ পুষতে না-পারলে পিতলের বা কাঁচের ব্যাঙ রেখেও বাড়িতে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটাতে পারেন। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যোদয় হয়। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ব্যাঙ দেখলে সমস্ত কাজ বিনা বাধায় পূর্ণ হয় বলে মনে করা হয়।


​ঘোড়া

জ্যোতিষ ও বাস্তুতে ঘোড়াকে অত্যন্ত শুভ ও সৌভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত ঘোড়া পোষা হয় না। এ ক্ষেত্রে ঘোড়ার পেন্টিং বা স্ট্যাচু রাখা যায়। ঘোড়াকে পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান পশু মনে করা হয়। বাড়িতে ঘোড়ার ছবি বা স্ট্যাচু থাকলে পরিবারের সদস্যদের ওপর শুভ প্রভাব পড়ে। জীবনে লক্ষ্য লাভে সফল হন জাতক।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.