জগন্নাথ-বলরাম-শুভদ্রা নয়, রথের দিন মা তারার রথযাত্রার প্রথা শুরু হল কীভাবে
ODD বাংলা ডেস্ক:রথ আছে, কিন্তু নেই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। এমনটাও কি সম্ভব? আসলে রথ বলতে আমাদের চোখের সামনে এই তিন দেবতার চেহারাই ভেসে আসে। পুরীর পাশাপাশি আমাদের রাজ্যের চিত্রটাও সেরকমই। তবে ব্যতিক্রম শুধু তারাপীঠের রথে। কারণ তারাপীঠের রথে অধিষ্ঠাত্রী মা তারা।
করোনা অতিমারি কাটিয়ে দুই বছর পর ফের রথে অধিষ্ঠাত্রী হলেন মা তারা। তাই এবার তারাপীঠে মা তারার রথ যাত্রা দেখতে উপচে পড়া ভিড়। করোনা অতিমারির কারণে বছর দুয়েক বন্ধ ছিল রথ যাত্রা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে তারাপীঠ রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুরনো ধুমধামের নজরকাড়া ছবি। প্রাচীন রীতি মেনে শুক্রবার বিকেলে মা তারাকে রথে বসিয়ে ঘোরানো হল তারাপীঠ। বিকেলে মা তারাকে মূল মন্দির থেকে
বের করে রথে বসানো হয়। তারপরই হাজার হাজার পূর্ণার্থী রথের রশিতে টান দেন।
বের করে রথে বসানো হয়। তারপরই হাজার হাজার পূর্ণার্থী রথের রশিতে টান দেন।
তবে কীভাবে শুরু হল তারা মায়ের রথযাত্রা?- তারা মা-র সেবাইত সংঘের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “রথ কবে থেকে শুরু হয়েছিল তার দিনক্ষণ এখন আর বলা সম্ভব নয়। তবে প্রতি বছর মা তারাকে রথে চড়িয়ে তারাপীঠ প্রদক্ষিণ করিয়ে সন্ধ্যা আরতির আগে মূল মন্দিরে বসানো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত দুই বছর করোনা অতিমারির কারণে রথযাত্রা বন্ধ করা হয়েছিল। এবার করোনা কিছুটা কমে যাওয়ায় রথযাত্রা শুরু করা হল। এই রথ থেকে ভক্তদের উদ্দেশে প্যাড়া, বাতাসা, মণ্ডা বিতরন করা হয়। সেই প্রসাদ পেতে ভক্তদের মধ্যে হুটোপুটি পড়ে যায়। কারণ এই প্রসাদ গ্রহণ করলে পুনর্জন্ম হয় না বলে কথিত আছে।’ মন্দিরের সেবাইত, সাহিত্যিক প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই থেকে জানা যায়, তারাপীঠের বিখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ তারাপীঠের রথের প্রচলন করেছিলেন। সেই সময় একটি পিতলের রথ তৈরি করা হয়েছিল। সেই রথেই আজও মা তারাকে বসিয়ে ঘোরানো হয়।
তারা মায়ের একটি রথ ঘর তৈরি করা হয় যুক্তফ্রন্টের আমলে ওই রথ ঘরের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়। সারা বছর ওই রথ ঘরেই পিতলের রথকে সংরক্ষিত রাখা হয়। রথ ঘরটি নির্মাণ করেন জনৈক মা তারার ভক্ত আশালতা সাধু খাঁ।
Post a Comment