স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নখের জন্য...
ODD বাংলা ডেস্ক: নখ হলো এক ধরনের শক্ত কোষের সমষ্টি। নখের শক্ত বা নমনীয় ভাব নির্ভর করে দৈহিক প্রকৃতির ওপর। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমাণ মতো প্রোটিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়োডিন ও ভিটামিন-বি খেলে নখ সুন্দর ও সতেজ থাকে। নখ পাতলা ও ভঙ্গুর হলে বুঝতে হবে এটা খাদ্যাভ্যাসের ফলাফল। পর্যাপ্ত প্রোটিন, বায়োটিন, জিঙ্ক ও আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নখ সুস্থ রাখার জন্য বেশি জরুরি বায়োটিন। শীতকালীন সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণ খান। নখের সুন্দর গড়নের জন্য সপ্তাহে একবার মেনিকিউর ও পেডিকিউর করা দরকার। অতিরিক্ত জল ও অতিরিক্ত গরম, ঠান্ডা ক্ষারজাতীয় পদার্থ নখের জন্য ক্ষতিকর। দিনে দুইবার সাবান জলে কবজি থেকে নখ পর্যন্ত হাত ও নখসহ পায়ের পাতা ধোয়া উচিত। হাত-পা ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন মেখে নেবেন। এতে হাত-পায়ের নখ আর্দ্রতাপূর্ণ ও সতেজ থাকবে।
এ ছাড়া বাড়তি যত্ন হিসেবে সপ্তাহে একদিন তিন চামচ অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে হাতের তালু এবং হাতের ও পায়ের আঙ্গুলগুলোতে ভালো করে মাখতে হবে। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে হাতের খসখসে ভাব থাকবে না। নখ চকচকে ও শক্ত হয়ে উঠবে। যাদের নখ ভঙ্গুর তারা লোশন, অলিভ অয়েল, ক্রিম যে কোনো একটি উপাদান সামান্য পরিমাণে নখে লাগিয়ে তুলা দিয়ে নখের গোড়ায় সমান করে দেবেন। ফলে নখ থাকবে সতেজ ও মজবুত।
নখে নেইল পলিশ লাগানো থাকলে তা রিমুভার দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। সব সময় নখে নেইল পলিশ ব্যবহার করা ঠিক নয়। দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থাকলে পরিত্যাগ করুন। নখ কাটার জন্য ধারালো নেইল কাটার ব্যবহার করা ভালো। অনেকেই কিউটিকল বা নখের গোড়ার যত্ন এড়িয়ে যান। এটা সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। তাই এটা টানা, ছেঁড়া বা কাটা ঠিক নয়।
Post a Comment