এই ৩ রাশির জন্য দারুণ উপকারী মুক্তো, পরলেই লক্ষ্মীলাভ!



 ODD বাংলা ডেস্ক: জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল রত্নশাস্ত্র। বিভিন্ন গ্রহের অশুভ প্রভাব কাটাতে বিভিন্ন রত্ন ধারণ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষবিদরা। প্রতিটি গ্রহের উপর কোনও না কোনও রত্ন প্রভাব বিস্তার করে। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ রত্ন হল মুক্তো। সাদা বা ক্রিম রঙের মুক্তো চাঁদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এর শান্ত স্বচ্ছ আভা ঠিক যেন চাঁদের মতোই সুন্দর। কারোর জন্মছকে চন্দ্র দুর্বল থাকলে তাঁকে মুক্তো ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।


মুক্তো ধারণ করার উপকারিতা


* জ্যোতিষ অনুসারে আমাদের মন ও মস্তিষ্কের উপর প্রভাব বিস্তার করে চাঁদ। তাই মন শান্ত রাখতে ও উদ্বেগ কমাতে মুক্তো ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আবার যাঁরা অল্পেই রেগে যান বা সামান্য কারণেই অবসাদে ডুবে যান, তাঁদের জন্যও মুক্তো ধারণ করা উপকারী।


* পরিবারের কোনও সদস্য, বিশেষত মহিলা ও বয়স্করা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়লে পূর্ণিমার দিনে চালের ওপর মুক্তো রেখে বাড়িতে ব্রাহ্মণ ডেকে দান করুন। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের অসুখ সেরে যাবে বলে বিশ্বাস।


* আর্থিক অভাবের থেকে মুক্তি পেতে দুটি মুক্তোকে হলুদ কাপড়ে বেঁধে ঠাকুরঘরে রেখে দিন। এর ফলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদে আর্থিক সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।


* সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত গণেশকে মুক্তোর মালা পরান। পাশাপাশি প্রতি সোমবার গণপতি স্তোত্র পাঠ করলে লাভ হবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মজবুত হবে।


মুক্তো কোন রাশির জাতকদের জন্য ভালো?


জ্যোতিষ অনুসারে কর্কট, ধনু ও মীন রাশির জাতকরা মুক্তো ধারণ করলে উপকারী ফল লাভ করবেন। এঁরা মুক্তো ধারণ করলে স্বয়ং মা লক্ষ্মী এদের উপর প্রসন্ন হন।


মুক্তো কী ভাবে ধারণ করবেন?


রুপোর আংটিতে বাঁধিয়ে মুক্তো ধারণ করা সবথেকে ভালো। মুক্তো যেহেতু চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই চন্দ্রের দিন সোমবারে মুক্তো ধারণ করা শুভ। হাতের সবথেকে ছোট আঙুল কনিষ্ঠাতে মুক্তো পরতে বলা হয়।


মুক্তো ধারণ করার ক্ষতি


তবে মুক্তো ধারণ করার কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। তাই মুক্তো পরার আগে অবশ্যই কোনও জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আপনি যদি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ বা আক্রমণাত্মক হন,তাহলে আপনার জন্য মুক্তো ধারণ না করাই ভালো। কারণ এর ফলে আপনার আবেগপ্রবণতা বা আক্রমণাত্মক প্রকৃতি আরও বেড়ে যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.