গর্ভবতী স্ত্রীরা মেনে চলুন বাস্তুর এই সহজ নিয়ম, সন্তান হবে সুস্থ-সবল



 ODD বাংলা ডেস্ক: মাতৃত্বের সুখানুভূতি প্রতিটি মহিলার জীবনে বিশেষ স্থান দখল করে থাকে। গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য গর্ভবতী স্ত্রীকে নিজের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। বাস্তু শাস্ত্র মতে আমাদের চারপাশের জিনিস সন্তানের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, এ কারণে গর্ভবতী মহিলাদের নিজের কাছে এমন জিনিস রাখা উচিত, যা তাঁদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর প্রভাবে সেই সন্তান সুস্থ ও সংস্কারী হয়। গর্ভবতী স্ত্রীর শয়নকক্ষ কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে বাস্তু শাস্ত্র জানিয়ে থাকে।


বাচ্চার ছবি


বাস্তু শাস্ত্র মতে, গর্ভবতী স্ত্রীর কক্ষে একটি হাসিখুশি শিশুর ছবি টাঙানো উচিত। গর্ভবতীর চোখ যে দিকে বার বার যায় সে দিকে এই ছবি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে গর্ভবতী স্ত্রীর মনে আনন্দ থাকে। মায়ের ইতিবাচক ও হাসিখুশি মানসিকতার প্রভাব সন্তানের ওপর পড়ে। ফলে তাঁরা মানসিকতাও হবে ইতিবাচক।


নাড়ু গোপালের ছবি


গর্ভবতী মহিলারা নিজের শয়নকক্ষে নাড়ু গোপালের ছবি বা মূর্তি রাখতে ভুলবেন না। সকালে ওঠার পর যেখানে গর্ভবতী স্ত্রীর চোখ সবার আগে যাবে, সেখানেই নাড়ু গোপালের ছবি বা মূর্তি রাখা উচিত। এর প্রভাবেও মনে আনন্দ ও শুভ চিন্তাভাবনা জন্ম নেয়।


তামার পাত্র


বাস্তু মতে গর্ভবতী স্ত্রীরা নিজের কক্ষে তামার কোনও বস্তুও রাখতে পারেন। এর প্রভাবে সেই কক্ষে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হবে। সন্তানকে কুনজর থেকে রক্ষা করতে পারবে ওই গর্ভবতী মহিলা। উল্লেখ্য তামার পাত্রের প্রভাবে সেই কক্ষে নেতিবাচক ও অশুভ শক্তির প্রসার ঘটা সম্ভব নয়।


কৃষ্ণের বাঁশী ও শঙ্খ


বাস্তু শাস্ত্র জানাচ্ছে যে, কক্ষের মধ্যে কৃষ্ণের বাঁশী বা শঙ্খ রাখলে বাচ্চা শান্ত এবং হাসিখুশি স্বভাবের হয়।


দম্পতির ছবি


গর্ভবতী স্ত্রী শয়নকক্ষে নিজের ও স্বামীর হাসিখুশি ছবি টাঙান। এর প্রভাবে সন্তান মা-বাবার ঘনিষ্ঠ হতে পারে। এ ছাড়াও গর্ভবতী মহিলার মনে সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা থাকবে। এর প্রভাবে সেই শিশুও সুস্থ জন্মাবে। এ ছাড়াও কক্ষে হলুদ চাল রাখতে পারেন। একে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়।


ইতিবাচক বই পড়বেন


শাস্ত্র মতে গর্ভবতী স্ত্রীর কক্ষে রামায়ণ বা শ্রীমদভ্গবত পুরাণ রাখতে পারেন। পাশাপাশি এই ধর্মগ্রন্থগুলি পড়লে বাচ্চাদের ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন এই গ্রন্থগুলি পাঠ করলে সন্তান ধার্মিক প্রবৃত্তির হয়।


পোশাক


গর্ভবতী মহিলারা লালা, কালো বা কমলা রঙের পোশাক পরবেন না। এর পরিবর্তে হাল্কা রঙ যেমন হাল্কা নীল, হলুদ, সাদা ও হাল্কা গোলাপী রঙের পোশাক পরা উচিত। গাঢ় রঙ ব্যবহার করলে গর্ভবতী মহিলারা অবসাদের শিকার হতে পারেন। তাই এই রঙের পোশাক পরা থেকে বিরত থাকা উচিত।


ছুরি, কাঁচি রাখবেন না


গর্ভবতী স্ত্রীর কক্ষে ভুলেও মহাভারত ছুরি, কাঁচী, হতাশাযুক্ত ছবি, সূঁচ সুতো রাখতে নেই। এর ফলে সেই সন্তানের ওপর বিপরীত প্রভাব পড়বে।


গর্ভাবস্থার সময়ে বাস্তুর অন্য এই নিয়মগুলি মেনে চলবেন


১. নেতিবাচক শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে গর্ভাবস্থায় সমগ্র ঘরে হলুদ রঙের চাল ছেটান। জ্যোতিষ শাস্ত্রে হলুদ চালকে মঙ্গলের কারক মনে করা হয়। এই উপায় করলে শিশু ও মায়ের ওপর কোনও নেতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে না।


২. গর্ভবতী মহিলার শয়নকক্ষের রঙ হওয়া উচিত গোলাপী। গোলাপী রঙ আনন্দের প্রতীক। এই রঙ স্ত্রীর মনকে উৎফুল্ল করে রাখে। আলোবাতাস যুক্ত গর্ভবতী মহিলার থাকার ব্যবস্থা করলে ইতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পায়।


৩. ময়ূরপঙ্খ কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ঠাকুর ঘর মহিলার শয়নকক্ষে এটি রাখলে মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই শুভ প্রমাণিত হতে পারে।


৪. গর্ভবতী মহিলার বিছানার তলায় কোনও কোনও ভাঙা, পুরনো ও অব্যবহার্য জিনিস রাখবেন না। আবার গর্ভবতী মহিলার কক্ষে পিতৃপুরুষের ছবি লাগানো থেকে বিরত থাকুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.