পুজোয় কী ভাবে ভোগ নিবেদন করবেন ঠাকুরকে? জেনে নিন সঠিক নিয়ম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দুধর্মে গৃহস্থ বাড়িতে ঠাকুর পুজো করার রীতি রয়েছে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই কূলদেবতা-সহ আরও কয়েকজন দেব-দেবীর মূর্তি বা ছবি দেখা যায়। পুজোয় সময় ভগবানকে সঠিক নিয়ম মেনে প্রসাদ নিবেদন করার প্রথা রয়েছে। কোনও উপবাস উত্‍সব থাকলে তখন ঈশ্বরকে ভোগ নিবেদন করা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তবে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করার সময় অনেক সময়ই তার পদ্ধতিতে কিছু ভুল করে থাকি আমরা। অজান্তে করা এই ভুল কিন্তু আমাদের বড় ক্ষতি করে দিতে পারে। সেই কারণেই অনেক সময় দেখা যায় যে উপবাস রেখে পুজো-অর্চনা করেও তার পুরোপুরি ফল পাওয়া যায় না।


জেনে নিন ইশ্বরকে ভোগ নিবেদন করার সঠিক পদ্ধতি


প্রসাদ রাখার স্থান


ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করার পর এই প্রসাদ মাটিতে রাখবেন না। আবার ঠাকুরের ভোগ প্রসাদ হয়ে গেলে তা আর মূর্তির খুব বেশি কাছাকাছি রাখবেন না। এছাড়া ঠাকুরকে খাবার দেওয়ার সময় সঙ্গে জল নিবেদন করতে ভুলবেন না। ঠাকুরের ভোগ সব সময় পেতল, রূপো, সোনা বা মাটির বাসনে নিবেদন করবেন। এছাড়া কলাপাতায় প্রসাদ বিতরণ করা শুভ বলে মনে করা হয়।


প্রসাদ বিতরণ


ঈশ্বরকে নিবেদন করার জন্য ফল ও মিষ্টি সবচেয়ে সেরা বলে মনে করা হয়। ঠাকুকে ভোগ নিবেদন করা হয়ে গেলে সেই স্থানে তা ফেলে রেখে চলে যাবেন না। প্রসাদ তখনই ওখান থেকে তুলে নিন এবং তা আগে একটু নিজের মুখে দিন। এরপর উপস্থিত সবার মধ্যে ওই প্রসাদ ভাগ করে দিন। প্রসাদ বিতরণ না করে ফেলে রাখলে ঘরে নেগেটিভ এনার্জি বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।


উপবাসের প্রসাদ


যদি আপনি উপোস রেখে পুজো করেন, তাহলে পুজোর পর নিজের জন্য নিজে প্রসাদ নেবেন না। এই প্রসাদ আপনি প্রথমে সবার মধ্যে ভাগ করে দিন। তারপর অন্য কাউকে আপনাকে প্রসাদ দিতে হবে। আলাদা দেব দেবীকে আলাদা ভোগ নিবেদন করতে হয়। সেই অনুযায়ী যে ঠাকুরের পুজো করছেন তাঁর প্রিয় খাবার ভোগ হিসেবে উত্‍সর্গ করুন। তাহলেই কাঙ্খিত ফল লাভ করা সম্ভব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.