পুরুষ হোক বা নারী, শরীরের এই অংশে চুল থাকা শুভ, অর্থ-সৌভাগ্যে কখনও অভাব হয় না এঁদের

 


ODD বাংলা ডেস্ক: জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল সমুদ্র শাস্ত্র। এই শাস্ত্র অনুসারে জাতকের শারীরিক গঠন, আকার, আকৃতি এমনকি চুল দেখেও তাঁদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যেতে পারে। ঋষি সমুদ্র দ্বারা রচিত এই শাস্ত্র অনুযায়ী, শরীরের কিছু অংশে চুল থাকা অত্যন্ত শুভ। আবার শরীরের কোনও কোনও অংশের উপস্থিত লোম বা চুল অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী, মহিলাদের শরীরর কোন অংশে চুল বা লোম থাকা শুভ ও কোন অংশে অশুভ জেনে নেওয়া যাক।


লম্বা, ঘন, কালো চুল


শাস্ত্র মতে যে মহিলাদের মাথার চুল লম্বা, ঘন ও কালো সেই মহিলাদেরও অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী বলে মনে করা হয়। যে পুরুষ এমন মহিলার সঙ্গে বিবাহ করেন তাঁরা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে থাকেন। চাকরি ও ব্যবসায় ভালো ফল করেন এই জাতিকারা। এমন মহিলারা শ্বশুরবাড়ির ভালোবাসা লাভ করেন ও নিজের পরিবারের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসেন।


হাত ও পায়ে চুল থাকা


এখনকার দিনে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও অনেকে হাত ও পায়ের লোম পরিষ্কার করে ফেলেন। এর ফলে শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি হাত ও পায়ে লোম থাকা অশুভ বলে জানাচ্ছে জ্য়োতিষশাস্ত্র। যাদের হাত ও পায়ে চুল থাকে তাঁদের নিজের জীবনে প্রচুর ওঠাপড়ার মুখে পড়তে হয়। এমন মহিলা ও পুরুষদের জীবনে আনন্দ খুব বেশি ক্ষণ টিকে থাকে না। এদের জীবনে সমস্যার আনাগোনা লেগেই থাকে।


পিঠে চুল থাকা


পুরুষদের মধ্যে কারও কারও পিঠে চুল থাকলেও মহিলাদের মধ্যে পিঠে চুল খুব একটা দেখা যায় না। সমুদ্র শাস্ত্র অনুসারে যে মহিলাদের পিঠে চুল থাকে তাঁরা অত্যন্ত সাহসী হন। এরা বিশ্বস্ত ও দায়িত্বশীল হয়ে থাকেন। এঁদের অর্থভাগ্যও তুঙ্গে থাকে।


কানে চুল


জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কানে চুল থাকাও অত্যন্ত শুভ। এমন জাতকের কাছে প্রচুর অর্থ থাকে। এঁরা বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে পারেন। খুব কম চেষ্টা করেও অনেক কিছু লাভ করতে পারেন এই জাতিকারা। এ ছাড়াও যে মহিলাদের কানে চুল থাকে তাঁরা অত্য়ন্ত প্রতিভাবান হন। এঁদের ওপর সবসময় ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকে। অন্য দিকে পুরুষদের বুকেও চুল থাকা ভালো মনে করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.