যেভাবে নাচের আগ্রহ তৈরি হয় শিল্পার
ODD বাংলা ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। সুপার ড্যান্সার এবং ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো। আর এ শোয়ের অন্যতম বিচারকের আসনে বসে হাসির ফোয়ারা ছড়িয়ে দেন তিনি। আর তাতেই দর্শকের মনে পড়ে যায় পুরোনো দিনের কথা।
চোখে কিছুক্ষণের জন্য ভেসে ওঠে ‘বাজিগর’র সীমা চোপড়া, ‘পরদেশী বাবু’র চিনি মালহোত্রা কিংবা ‘ফির মিলেঙ্গে’র তামান্না সাহানির মিষ্টি মুখখানি। ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করে (মাঝে কিছু বিরতির পর) দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বলিউডের রুপালি পর্দা। দোর্দণ্ড প্রতাপে অভিনয় করে গেছেন হিন্দি ও দক্ষিণী সিনেমায়। এ বছরই মুক্তি পাবে তার অভিনীত কানাড়া ভাষার আরেকটি চলচ্চিত্র ‘কেডি : দ্য ডেভিল’। আর এ সিনেমার মাধ্যমেই ১৮ বছর পর দক্ষিণী চলচ্চিত্রে ফিরেছেন শিল্পা শেঠি।
মডেলিং দিয়ে তিন দশক আগে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বলিউডের এ অভিনেত্রী। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সিনেমায় নাম লিখিয়ে এগিয়েছেন তিনি। প্রেম, বিয়ে, ক্যারিয়ার নিয়ে সমালোচনার কণ্টকময় পথও মাড়াতে হয়েছে মডেলিং জগতের অশ্বিনীকে। কিন্তু সব ছাপিয়ে তিনি দানশীল মানুষের কাতারে ফেলে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়।
২০০৪ সালে রেবতি পরিচালিত ‘ফির মিলেঙ্গে’র সিনেমায় পাওয়া পুরো সম্মানি এইড্স আক্রান্ত মানুষদের জন্য দান করেছিলেন শিল্পা। ওই সিনেমায় অভিনীত তার তামান্না চরিত্রটি ছিল একজন এইড্স বাহকের। আর তাতেই প্রশংসায় ভেসেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, চরিত্রটির জন্য তিনি পেয়েছিলেন কয়েকটি পুরস্কারের মনোনয়ন।
১৯৯৪ সালে অ্যাকশন কমেডি ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’ সিনেমার দ্বৈত চরিত্রে বিশেষভাবে প্রশংসিত হলেও ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ধাড়কান’ ছিল তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরই তিনি একে একে পেতে থাকেন বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব। ‘রিশতে’, ‘কার্জ’, ‘দাস’, ‘দোস্তানা’, ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’, ‘হাঙ্গামা-২’ সিনেমাগুলোতে ব্যাপক প্রশংসিত হন শিল্পা।
শৈশবে স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকেই খেলাধুলায় পারদর্শী ছিলেন শিল্পা শেঠি। তখন থেকেই নাচের প্রতি তার আগ্রহ। ভরতনাট্যম, ক্ল্যাসিক্যাল নাচেও পারদর্শী ছিলেন। এখনো নাচের চর্চা করেন। নাচসংশ্লিষ্ট টিভির রিয়েলিটি শোগুলোতে অতিথি হওয়ার আমন্ত্রণ পেলে মিস করেন না ‘ফিটনেস কুইন’। প্রতিদিনই ৪৫ মিনিট যোগ ব্যায়াম করেন শিল্পা শেঠি।
শাহরুখ-সালমান-কাজলদের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে নিজের ক্যারিয়ের পোক্ত রাখতে পারলেও টাকা আয়ের দিক থেকে সেভাবে এগোননি তিনি। কারণ অর্থবিত্তের প্রতি তার লোভ নেই। ২০২২ সালের এক জরিপ অনুযায়ী শিল্পার সম্পদের পরিমাণ ১৩৪ কোটি রুপি।
বলিউডের প্রথম সারির অধিকাংশ অভিনয়শিল্পী তার চেয়ে অনেক বেশি সম্পদের অধিকারী। এমনকি দ্বিতীয় সারির অনেক অভিনয়শিল্পীর সম্পদ তার চেয়ে অনেক বেশি। তবে গ্লোবাল ইম্প্যাক্ট ক্যাটাগরিতে পাওয়া শিল্পার আইফা অ্যাওয়ার্ড তাকে দিয়েছে সম্পদের চেয়েও অনেক বেশি।
কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরে একটি টুলুভাষী বান্ট পরিবারে ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন শিল্পা। তিনি ২০১৬ সালে ঢাকার একটি ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়ে প্রকাশ করেছিলেন তার বাঙালি বংশ পরিচয়। বলেছিলেন তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন সিলেটে। এমনকি ওই অনুষ্ঠানে বাংলায় কথাও বলেছিলেন এ অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, ভালো গল্প পেলে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
Post a Comment