রাস্তায় বেরোলেই ঘামে জামা ভিজে যাচ্ছে? মেনে চলুন কিছু নিয়ম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে, তাতে ফ্যানের নিচে বসেও  ঘাম হচ্ছে। রাতে এসি ছাড়া ঘুমাতে পারছেন না অনেকে। রাস্তাঘাটে বেরোলে কিছুক্ষণ হাঁটলেই ঘাম হচ্ছে। গরম কোনওভাবেই এড়ানো যায় না। কিন্তু ঘাম প্রতিরোধ করা যায় । সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ঘাম হয়। এই ঘাম শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হলে কারোরই ভালো লাগে না। বিশেষ করে বগল ঘামলে বেশি দুর্গন্ধ হয়, জামাকাপড়ও নষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন।


ঘামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। স্নানের সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। এটি ঘাম এবং ঘামের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে।


বগলে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করতে ডিওডোরেন্টের বদলে অ্যান্টিপারসপিরেন্টস ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্টিপারসপিরেন্টসের মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকে, যা ঘাম উৎপন্ন গ্রন্থিগুলো ব্লক করে দেয়। এতে ঘাম কম উৎপন্ন নয়।


এই গরমে সুতির পোশাক পরুন। আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না। হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক করুন। পলিয়েস্টার বা নাইলনের পোশাক পরলে ঘাম বেশি হয়।


গরমে মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেইনযুক্ত খাবার বা পানীয় এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে এবং এর জেরে ঘাম বেশি হয়।


গরমে ঘাম এড়াতে হাইড্রেটেড থাকুন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।


ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার করুন। অল্প জলে বেকিং সোডা ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট বগলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে ঘাম উৎপন্ন কমবে।


রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বগলে ভিনিগারে লাগিয়ে নিন। এক কাপ জলে দু’চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এতে তুলার বল ডুবিয়ে বগলের উপর বুলিয়ে নিন। এই পদ্ধতি কাজে লাগালে ধীরে-ধীরে ঘাম হওয়া কমে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.