শিশুর ডেঙ্গু রোগের সতর্কতামূলক লক্ষণ ও করণীয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ইদানীং শিশুরা ডেঙ্গুতে খুব বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু আসলে ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে আক্রান্ত মানুষ থেকে অন্য মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।


ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে সংক্রমণের সাধারণত ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দেয়। যেমন– হঠাৎ তীব্র জ্বর যা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত, তীব্র মাথাব্যথা, ফোলা লিম্ফ গ্ল্যান্ড, অস্থিসন্ধিতে এবং পেশিতে ব্যথা, জ্বর হওয়ার দুই থেকে পাঁচ দিনের মাথায় ত্বকে র‌্যাশ, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, নাক বা মাড়ি থেকে হালকা রক্তপাত, ত্বকে হালকা ক্ষত ভাব, খিঁচুনি জ্বর ইত্যাদি। শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে নেতিয়ে পড়ে কিংবা অস্বাভাবিক ছটফট করে। অন্য কোনো কারণ না পাওয়া গেলে এটা ডেঙ্গুর সতর্কতামূলক লক্ষণ ভাবতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু লক্ষণ আছে, যা দেখে সতর্ক হতে হবে।


১. ঝিমুনি ভাব, অসংলগ্ন কথাবার্তা, খিঁচুনি।

২. শোয়া বা বসা থেকে উঠতে গেলে মাথা ঘুরানো কিংবা ঝিমঝিম ভাব।

৩. হাত-পা ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে হয়ে ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া। পাশাপাশি নাড়ি খুব দ্রুত আর দুর্বল কিংবা নাড়ি পাওয়া না গেলে, রক্তচাপ খুব কম কিংবা নির্ণয়যোগ্য না হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

৪. একটানা বমি (অর্থাৎ ঘণ্টায় তিনবার বা এর চেয়ে বেশি বমি)।

৫. পেটে ব্যথার কথা বললে কিংবা চিকিৎসক পেটে হাত দিয়ে পরীক্ষা করলে যদি ব্যথার কথা বলে।

৬. শরীরে যদি জল আসে। পেট বা পায়ে জল এলে অভিভাবক বুঝতে পারবেন। কিন্তু ফুসফুসের বাইরে জল জমলে চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা কিংবা এক্স-রে করে বুঝবেন।

৭. ৪-৬ ঘণ্টা হয়ে গেছে কিন্তু শিশু প্রস্রাব করছে না, তাহলে সতর্ক হতে হবে।

৮. ডেঙ্গু হলে রক্তক্ষরণ কয়েকভাবে হতে পারে। বমির সঙ্গে বা পায়খানার সঙ্গে টাটকা রক্ত যেতে পারে, আবার নাক বা দাঁতের মাড়ি থেকেও রক্ত ঝরতে পারে। চামড়ায় লাল লাল ছোপ বা র‍্যাশ সতর্কতামূলক লক্ষণ।  

৯. শ্বাসকষ্ট হওয়া।


প্রতিকার: শিশুর জ্বর হওয়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ‘মৌসুমি জ্বর’ ভেবে সময় নষ্ট করা যাবে না। যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই– এ কারণে ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায় মশার কামড় থেকে বাঁচার নানা ব্যবস্থা নেওয়া। যেমন শিশুকে ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট ও মোজা পরানো। দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে ঘুমানো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.